post

আমার পুঁজি আমার বিনিয়োগ সালাহউদ্দিন আইউবী

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

মানব জীবনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জীবনের প্রতি মূহুর্তে এই চ্যালেঞ্জ উতরে সাফল্য অর্জন করা অনেকটা স্বপ্নের মতোই। এজন্য মহান আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিটি পুঁজি নামক নেয়ামতকে বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। চালিয়ে যেতে হবে সর্বোত্তম ব্যবসা। ব্যবসায় বরকত বেশি। দুনিয়াবি রিযিক ও সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যবসা করতে অনুপ্রাণিত করেছে ইসলামে। ব্যবসায় অর্জিত রিযিককে সর্বোত্তম রিযিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। রিফা‘আহ বিন রাফি’ রা. থেকে বর্ণিত: নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন- ‘কোন্ প্রকারের জীবিকা উত্তম?’ উত্তরে তিনি বললেন, নিজ হাতের কামাই এবং সৎ ব্যবসায়। (বুলুগুল মারাম-৭৮২) অন্য হাদিসে এসেছে ইবনু উমার রা. থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী মুসলিম ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহীদদের সাথে থাকবে। (ইবনে মাজাহ-২১৩৯) দুনিয়ার সাফল্যের আশায় এই ব্যবসা আমাদের অনন্ত জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। হাদীস বলছে; ইবনু ‘উমার রা. সূত্র থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি; যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দিবেন। তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দিবেন না। (আবু দাউদ-৩৪৬২) প্রচলিত বৈষয়িক সমৃদ্ধি কামনায় যে ব্যবসা জগতব্যাপী চলমান তার চেয়ে উত্তম ব্যবসার প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সূরা আস-সফ এর ১০ ও ১১ নং আয়াতে দয়াময় আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।” বিভিন্ন হাদিসেও পরলৌকিক মুক্তির জন্য সর্বোত্তম ব্যবসার কথা উল্লেখ রয়েছে। আবু সা’ঈদ রা. থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এমন সময় (মসজিদে) আসল যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায আদায় করে নিয়েছেন। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এই ব্যক্তির সাথে ব্যবসা করতে চায়? এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল এবং তার সাথে নামায আদায় করল। (মিশকাত-১১৪৬, তিরমিজি-২২০) অত্র হাদিসে জামায়াতে নামাজ আদায় করাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্টভাবে ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অপর এক হাদিসে প্রত্যেক মানব সন্তানকে ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আবু মালিক হারিস ইবনু ‘আসেম আশ‘আরী রা. থেকে বর্ণিত: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘পবিত্রতা অর্ধেক ঈমান। আর ‘আলহামদু লিল্লাহ’ (কিয়ামতে) নেকীর পাল্লাকে ভরে দেবে এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ ও ‘আলহামদু লিল্লাহ’ আসমান ও যমীনের মধ্যস্থিত শূন্যতা পূর্ণ করে দেয়। নামায হচ্ছে জ্যোতি। সাদকাহ হচ্ছে প্রমাণ। ধৈর্য হল আলো। আর কুরআন তোমার স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল। প্রত্যেক ব্যক্তি সকাল সকাল সবকর্মে বের হয় এবং তার আত্মার ব্যবসা করে। অতঃপর সে তাকে (শাস্তি থেকে) মুক্ত করে অথবা তাকে (আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে) বিনাশ করে।’’ (বুখারী-২২৩, মুসলিম-৩৫১৭, রিয়াদুস সালেহিন-২৬) সূরা আস সফ্-এর ১০ ও ১১ নং আয়াতে ঈমান আনয়ন করা ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে সর্বোত্তম ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নামক ব্যবসা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একজন ঈমানদার হিসেবে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনের জন্য জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নামক এ ব্যবসায় নিজের সর্বোচ্চ পুঁজি বিনিয়োগ করা জীবনের সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত। যথাসময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নামক ব্যবসায় নিজেকে পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করতে যৌবনকাল হলো উত্তম সময়। বিনিয়োগ যত সময়োপযোগী, যথাযথ ও কার্যকরী হবে, সাফল্য অর্জন ততো বেশি সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী তাঁর ‘ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন’ নামক বইটিতে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’র ৫ স্তরের বর্ণনা দিয়েছেন। পাঁচটি স্তরের মধ্যে প্রথম স্তর বা দিক হলো ‘দাওয়াত ইলাল্লাহ’। অর্থাৎ ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’ নামক ব্যবসায়ের প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভিত হলো ‘দাওয়াত ইলাল্লাহ’। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’র হক আদায় করতে গিয়ে আমাকে প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো আল্লাহর পথে মানবতাকে আহ্বান জানানো। সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ‘ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন’ বইয়ে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন- “আমাদের সসাজে সাধারণত জিহাদকে যুদ্ধ বা যুদ্ধকেই জিহাদ মনে করা হয়ে থাকে। অথচ এটা জিহাদের একটা অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রকৃত ব্যাপার হলো যুদ্ধ জিহাদের একটা অংশ মাত্র। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর সূচনা হয় মানব জাতির প্রতি আল্লাহর দাসত্ব কবুলের আহ্বান জানানোর মাধ্যম।” দাওয়াত হলো সর্বোত্তম ব্যবসার প্রধান উপায়। পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত যে মহাপুরুষগণ এই ব্যবসায় সফল হয়েছেন তাঁদের সকলের এই ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক কাজ ছিল সহজ, সরল ও দরদপূর্ণ ভাষায় মানব জাতিকে আল্লাহর দ্বীন কবুলের আহ্বান, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব গ্রহণ এবং গায়রুল্লাহর প্রভুত্ব ও কৃতিত্ব বর্জনের আহ্বান জানানো। সময়ের পরিবর্তনে প্রত্যেক নবী ও রাসূল তাঁদের দাওয়াতের পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। সমগ্র বিশ্বব্যাপী চলমান লকডাউন ওর তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতাসহ নানা কারণে স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্যের চেয়ে মানবসভ্যতা এখন ডিজিটাল মার্কেটিং-এর দিকে বেশি ঝুঁকছে। অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি জনপ্রিয়। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অনেকেই এখন অনলাইনে বাজার করার দিকে ঝুঁকছেন। ২০০৬ সালে ইউকে-তে অনলাইনে বাজার করত ৩% মানুষ, ২০২০-এর গোড়ায় তা দাঁড়ায় ১৯% আর করোনা মহামারির পর এবছর এপ্রিলে তা লাফিয়ে বেড়েছে ৩০ শতাংশে। চীনে ইন্টারনেটে ব্যবসার পরিমাণ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির চেয়েও বেশি। চীনে খুচরা ব্যবসার পাঁচভাগের একভাগই হয় অনলাইনে। দু’দশক আগেও অনলাইনে বাজার করা একটা নতুন চমকের ব্যাপার ছিল। এমনকি কোভিড-১৯ মানুষের মাঝে তার থাবা বসানোর আগেও মানুষ ইন্টারনেটে বাজার করত কালেভদ্রে। একটা সময় লোকে ভাবতো যেসব দুর্লভ জিনিস দোকানে সহজে মেলে না, শুধু ইবে-র মত সাইটেই সেসবের সন্ধান পাওয়া যায়, সেগুলো কিনতে হলে অনলাইন বাজারের শরণাপন্ন হতে হবে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য যেহেতু অনলাইন মুখী হয়েছে সুতরাং যারা ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’ নামক ব্যবসায় নিজের পুঁজি বিনিয়োগ করতে চায় তাদেরকেও এখন অনলাইন মুখী হয়ে দাওয়াতি কাজের মধ্য দিয়ে ব্যবসায় নতুন মেরুকরণ অত্যন্ত জরুরী। ইসলামবিদ্বেষী শক্তি ইতোমধ্যে অনলাইনের এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাজার দখল করে নিয়েছে। তাই আমাদের আর অপেক্ষা না করে যার হাতে যতটুকু পুঁজি রয়েছে তা নিয়েই ব্যবসায় নেমে পড়া উচিত। প্রিয় নতুন প্রজন্মের কাণ্ডারী ভাইয়েরা, আমাদের প্রত্যেককে নিজেকে আবিষ্কার করতে হবে। গভীরভাবে খুঁজতে হবে দিন কায়েমের আন্দোলনের জন্য আমার পক্ষ থেকে এই মূহুর্তে কী দেওয়ার আছে। আমাকে ভাবতে হবে আমার পাশেই অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুটির জন্য আমি কী করতে পারি (?) আমার পাশের বাড়ির স্কুল ছাত্রটি দিনের অধিকাংশ সময় অনলাইনে ব্যয় করে নৈতিক পতনকে চরম পর্যায়ে উপনীত করেছে। সেই স্কুল ছাত্রকে অনলাইনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচিয়ে আলোর পথে নিয়ে আসতে আমার হাতে কী আসলেই কোন পুঁজি আছে? আমি মনে করি প্রত্যেককেই আল্লাহ তায়ালা কোন না কোন পুঁজি দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এই পুঁজি-ই আমাদের মূলধন। যে ‘মূলধন’কে ক্ষতির আশঙ্কায় হামেশা সিন্ধুকের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় এবং যা হামেশা অনুৎপাদক (টহঢ়ৎড়ফঁপঃরাব) অবস্থায় বিরাজিত থাকে। মুসলমান নারী-পুরুষ এবং মুসলিম দলের নিকট কিছু ‘মূলধন’ থাকলে তাকে বাজারে আবর্তন (ঈরৎপঁষধঃরড়হ) করার জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত। তারপর মূলধন নিয়োগকারীদের মধ্যে যোগ্যতা থাকলে সে মূলধন লাভসহ ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। বাজারে আবর্তিত হতে থাকার মধ্যেই পুঁজির স্বার্থকতা। অন্যথায় যত অধিক পরিমাণ পুঁজিই জমা করা হোক না কেন তা পুরোপুরি ব্যর্থ হতে বাধ্য। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীগণ তাদের পুঁজি এ পথে বিনিয়োগ করে একটি জাতিকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে তৈরি করতে সচেষ্ট হবেন। একজন স্বল্প পুঁজিদার ব্যবসায়ীর ন্যায় আমাদের রক্ত পানি করা উপার্জনকে ব্যবসায়ে খাটাবার ব্যাপারে পূর্ণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত স্ব স্ব যোগ্যতা প্রত্যেকের জন্য তাঁর ব্যবসা পরিচালনার মূল পুঁজি। আমাদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত এই যোগ্যতাকে পুঁজি হিসেবে কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

আমরা যদি একটু বোঝার চেষ্টা করি আমাদের হাতে কি পুঁজি আছে। যেমন- - যদি এমন হয় যে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মেধা দিয়েছেন যাতে গণিত খুব ভাল বুঝেন। তাহলে আপনি অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে দাওয়াতি কাজের উদ্দেশ্যে সাধারণ ছাত্রদের গণিত শেখাতে পারেন। - ইংরেজিতে দক্ষতা থাকলে ফেসবুক হতে পারে আপনার জন্য এই দক্ষতা বিনিয়োগের সর্বোত্তম মাধ্যম। আগ্রহী কিছু ছাত্রকে বাছাই করে এর ইংরেজি শেখাতে শুরু করুন। - আরবি সহ আপনার অন্যান্য যেসকল ভাষাগত দক্ষতা আছে সেগুলো আপনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দাওয়াতি টার্গেটে বিলিয়ে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে অনলাইনকে ব্যবহার করতে পারেন। - বাংলাদেশের প্রায় ৯০% সাধারণ ছাত্র বিশুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে জানেনা। আপনি কুরআন তিলাওয়াত না জানা ছাত্রদের অনলাইনের মাধ্যমে কুরআন শিক্ষা দিয়ে সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারেন। - আপনার কণ্ঠ যদি সুন্দর হয় ইসলামী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষা করে ইসলামের সৌন্দর্য্যপূর্ণ সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারেন। - আবৃত্তি করার যোগ্যতা, বিতার্কিক হিসেবে যুক্তিপূর্ণ কথা বলতে পারা আপনার আকর্ষণীয় একটি দাওয়াতি উপকরণ। আপনি চাইলেই সুন্দর আবৃত্তি উপস্থাপনা ও বিতর্ক করার মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। - কোনো বিষয়কে ফুটিয়ে তুলতে পারা, যেমন লেখনি শক্তি এই সময়ের সবচেয়ে উপযোগী এবং কার্যকরী দাওয়াতি মূলধন। এই মূলধন কাজে লাগানোর সর্বোত্তম উপায় হলো অনলাইনের ব্যবহার। - গ্রাফিক্স ডিজাইনার মনের মাধুরী মিশিয়ে রাঙিয়ে তুলতে পারে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা ইসলামকে। তরুণ প্রজন্ম অনলাইন জগতে এই সৌন্দর্যের পূজারি।

সামগ্রিকভাবে যার যে যোগ্যতা আছে সেটাকেই পুঁজি হিসেবে বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। ফুটিয়ে তুলতে হবে ইসলামের সৌন্দর্য্যপূর্ণ সংস্কৃতির আদর্শ। কাজে লাগাতে হবে অনলাইনকে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমিন।

লেখক : সম্পাদক, প্রেরণা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির