post

ইসলামী আন্দোলনে কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা এবং তার পরিণতি

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

মুহা: আল আমিন ওমর|

ইসলামী আন্দোলন সাধারনত আন্দোলন বলতে যা বুঝায় তা হচ্ছে নড়া-চড়া করা, দোল খাওয়া বা অবস্থান পরিবর্তন করা ইত্যাদি। এ শব্দটির আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে আল-হারকাত এবং ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ হচ্ছে গড়াবসবহঃ। আল কুরআনের নিজস্ব পরিভাষায় এ শব্দটি হচ্ছে আল-জিহাদু ফি সাবিলিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর জমিনে তার দীনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ইসলাম বিরোধী সকল প্রকার প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে নিজের জান, মাল, বুদ্ধি, জ্ঞান, প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং শক্তি সামর্থ্য উৎসর্গ করে সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত সংগ্রাম করার নামই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বা ইসলামী আন্দোলন। ইসলামী আন্দোলন ঈমানের অপরিহার্য দাবি মহান আল্লাহ আল কুরআনের সূরা আস-সফের ১০ ও ১১ নম্বর আয়াতে ঈমানদারদের লক্ষ্য করে বলেন, “হে ঈমানদারগ! আমি কি তোমাদের এমন একটি ব্যবসার কথা বলব না, যা তোমাদেরকে (আখিরাতের) ভয়াবহ শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারে? আর তা হচ্ছে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনবে এবং আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের জান-মাল কুরবান করে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে পার।” সূরা আলে ইমরানের ১৪২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন, “তোমরা কি মনে করেছো যে, এমনিতেই জান্নাতে চলে যাবে? অথচ আল্লাহ কি দেখে নিবেন না কে আল্লাহর দীন বিজয়ের জন্য চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং বিপদ মুসিবতে ধৈর্য ধারণ করেছে?” রাসূলে কারীম (সা) ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সর্বোত্তম কাজ হিসেবে অবিহিত করেছেন। হযরত আবু যার গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, কোন্ কাজটি সবচেয়ে উত্তম? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম] হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূল (সা)-কে জিজ্ঞেস করা হল, সর্বোত্তম আমল কোন্টি? তিনি বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (সা), তারপর কোন্টি সর্বোত্তম আমল? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (সা), তারপর কোন্টি সর্বোত্তম (কাজ) আমল? তিনি বললেন, মকবুল হজ বা গৃহীত হজ। [সহীহ বুখারী ১ম খণ্ড] ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালার পৃথিবীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম মানব হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) পর্যন্ত যত নবী-রাসূল এসেছেন তাঁরা সবাই ছিলেন এ আন্দোলনের প্রধান সিপাহসালার। আর এ সমস্ত নবী-রাসূলদের পাশাপাশি যাঁরা তাঁদের তাওহীদের সুমহান দাওয়াত কবুল করেছিলেন তাঁরাও এ আন্দোলনের অন্যতম শরিকদার। তাওরাত, যাবুর, ইনজিল এবং সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল কুরআনে যার সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা আল কুরআনের সূরা আন-নাহলের ৩৬ নম্বর আয়াতে বলেন, “প্রত্যেক জাতির কাছে আমি রাসূল পাঠিয়েছি। যিনি এই বলে তাদের আহব্বান জানিয়েছিলেন- তোমরা আল্লাহর বন্দেগী কর এবং তাগুতের আনুগত্য পরিহার কর। এরপর তাদের মধ্য হতে কাউকে হেদায়াত দান করা হয়েছে আর কারোর ওপর গোমরাহী চেপে বসেছে। সুতরাং তোমরা জমিনে পরিভ্রমণ কর আর দেখ মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কী হয়েছিল।” সূরা মায়িদার ৫৭ নম্ব আয়াতে আল্লাহ আরো বলেন, “হে রাসূল, আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (মানুষের কাছে) পৌঁছে দিন। আর যদি তা না করেন, তবে তো আপনি তাঁর পয়গামের কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদের সৎপথে পরিচালিত করেন না।” যেহেতু, সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী মুহাম্মদ (সা)-এর ওফাতের পর কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, সেহেতু যারা প্রকৃত মুমিন তারাই কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে একটি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য অদ্যাবধি লড়াই করে আসছেন এবং এ লড়াই কিয়ামত সংঘঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয়তার ফলাফল ইসলামী আন্দোলনে সর্বসময়ে সক্রিয় থাকা আন্দোলনের কর্মীদের একটি প্রধান গুণ বা বৈশিষ্ট্য। বিপদ মুসিবত যত বড়ই হোক না কেন তাদের থাকতে হবে দৃঢ় ঈমান, অনঢ় ও অটল মনোবল। এক্ষেত্রে রাসূল (সা) ও সাহাবায়ে কেরামগণসহ যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টিকারী মহৎ ব্যক্তিরাই হচ্ছেন আমাদের প্রধান মাইল ফলক। ইসলামবিরোধী শক্তির নির্যাতন নিপীড়নে তারা ছিলেন সীসাঢালা প্রচীরের ন্যায় অবিচল। নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা যতই বেড়েছে তাদের ঈমান ততোই বৃদ্ধি পেয়েছে। নিস্ক্রিয়তার লেশ মাত্র তাদের আঁচ করতে পারেনি। প্রয়োজনে তারা দেশান্তরিত হয়েছেন কিন্তু তাগুতি শক্তির কাছে বিন্দুমাত্র আপস করেননি। বিপদ-মুসিবতে সর্বসময়ে যারা ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় থাকেন আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন বলে কুরআনে উল্লেখ করেছেন। আল কুরআনে সূরা আস-সফের ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, “আল্লাহ তা’য়ালা ঐ সমস্ত লোকদের ভালোবাসেন যারা সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় সংঘবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে।” সূরা বাকারার ২১৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা কি মনে করে নিয়েছ যে, তোমরা অতি সহজেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ এখন পর্যন্ত তোমাদের ওপর তোমাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় বিপদ-আপদ অবতীর্ণ হয়নি। তাঁদের ওপর বহু কষ্ট ও কঠোরতা এবং কঠিন বিপদ মুসিবত অবতীর্ণ হয়েছিল। এমনকি তাঁদেরকে অত্যাচার নির্যাতনে জর্জরিত করে দেয়া হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত তদানীন্তন রাসূল এবং তাঁর সঙ্গীগণ আর্তনাদ করে বলেছিলেন, আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? তখন তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বলা হয়েছিল, আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।” রাসূলে করীম (সা) বলেছেন, “হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহর পথে একটা সকাল ও একটা বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া ও এর সমস্ত সম্পদ থেকে উত্তম।” [সহীহ বুখারী] হযরত মু’য়াজ ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেছেন, যে মুসলিম ব্যক্তি উটের দুধ দোহনের সম-পরিমাণ সময় আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। (তিরমিযী) ইসলামী আন্দোলনে যারা নিস্ক্রিয় সুযোগবাদী স্বার্থান্বেষী ও মুনাফিকরাই ইসলামী আন্দোলনে এসে নিস্ক্রিয় থাকে। সুযোগ বুঝে এ আন্দোলন থেকে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করে এবং অনেক সময়ে এ আন্দোলনের ক্ষতি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না। বিশ্বনবী (সা)-এর সময়ে আব্দুল্লাহ বিন উবাইসহ কিছু সুযোগবাদী, স্বার্থান্বেষী মুনাফিক ছিল, লোক দেখানো এবং স্বার্থ হাসিল করার জন্যই তারা মূলত এ আন্দোলনে শরিক হয়েছিল। এইসব মুনাফিকদের সম্পর্কে সূরা নিসার ১৪২-১৪৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে ধোকাবাজি করেছে, অথচ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাদেরকে ধোকার প্রতিফলন প্রদান করবেন। তারা যখন নামাজের জন্য দাঁড়ায় তখন অনিচ্ছা ও শৈথিল্য সহকারে শুধু লোক দেখানোর জন্য দাঁড়ায় এবং আল্লাহকে তারা কমই স্মরণ করে। তারা কুফরি ও ঈমানের মাঝখানে দোদুল্যমান হয়ে রয়েছে, না পূর্ণভাবে এদিকে না পূর্ণভাবে ওদিকে। বস্তুত আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার মুক্তির জন্য আপনি কোনো পথ পাবেন না।” ইসলামী আন্দোলনে নিস্ক্রয়তার পরিণতি যেহেতু নামাজ-রোজার মত ইসলামী আন্দোলনও ফরজ, সেহেতু মুমিন জীবনে ইসলামী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অসীম। এ আন্দোলনে যারা নিস্ক্রিয় থাকে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’য়ালা সূরা বাকারার ২১৭-২১৮ নম্বর আয়াতে বলেন, “তোমদের মধ্যে যারা নিজেদের দীন থেকে এড়িয়ে চলবে এবং অস্বীকারকারী (কাফির) অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। এ সমস্ত লোকেরাই হবে জাহান্নামী, এতে তারা চিরকাল থাকবে। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে ও আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে, তারাই তো মহান রবের রহমতের প্রত্যাশী, যিনি ক্ষমাকারী ও পরম করুণাময়।” এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সূরা নিসার ১৩৭-১৩৮ নম্বর আয়াতে আরো বলেন, “যারা একবার পরিপূর্ণ মুসলমান হয়ে পুনরায় কুফরির পথ অবলম্বন করে এবং দিন দিন এ কুফরিতেই তারা উন্নতি লাভ করে আল্লাহ এ সমস্ত লোকদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং পথও দেখাবেন না। আর যারা প্রতারনা করে তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন যে তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ বেদনাদায়ক আজাব এবং যারা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারীদের পরিত্যাগ করে যারা কুফরি করে তাদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয়। আর তাদের কাছেই সম্মান প্রত্যাশা করে অথচ যাবতীয় সম্মান তো শুধু আল্লাহরই জন্য।” আল্লাহ তায়ালা সূরা তাওবার ৩৮-৩৯ নম্বর আয়াত আরো বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো? যখন তোমাদেরকে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে বলা হয়, তখন তোমরা বিভিন্ন ধরনের বাহানাবাজি তালাশ করার মাধ্যমে (আমাদের দ্বারা সম্ভব নয় বলে) জমিনকে আকড়ে ধরো। তাহলে তোমরা কি আখিরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনেই সন্তুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের বিভিন্ন উপকরণ তো খুবই নগন্য। যদি তোমরা (আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার কাজে) বের না হও তাহলে তিনি তোমাদেরকে বেদনাদায়ক কঠিন আজাব দিবেন। আর তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।” রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, হযরত হারেসুল আশয়ারী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি যেগুলো আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেনÑ ১. সংঘবদ্ধ হবে; ২. নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে; ৩. তার আদেশ মেনে চলবে; ৪. হিজরত করবে অথবা আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করবে; ৫. আর আল্লাহর দীন কায়েমের জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাবে। আর যে ব্যক্তি (আল্লাহর দ্বীন কায়েমের) সংগঠন ত্যাগ করে এক বিঘৎ পরিমাণ দূরে সরে গেল সে যেন ইসলামের রশি তার গলা থেকে খুলে ফেলল, যতক্ষণ না সে (আল্লাহর দীন কায়েমের) সংগঠনে ফিরে আসে। আর যে ব্যক্তি লোকদেরকে জাহেলিয়াতের দিকে আহ্Ÿান করে নিশ্চয়ই সে জাহান্নামী, যদিও সে রোজা রাখে, নামাজ পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে। (তিরমিযী) নিস্ক্রিয় থাকা মুমিনের কাম্য নয় যেহেতু (১) দাওয়াত ইলাল্লাহ, (২) শাহাদাতে আ’লান্নাস, (৩) কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, (৪) ইক্বামতে দীন, (৫) আমর বিল মা’রুফ ওয়া নাহি আ’নিল মুনকারÑ এই পাঁচটি কাজের  সমন্বয়ের নামই ইসলামী আন্দোলন। সেহেতু আল্লাহ তা’য়ালার প্রকৃত কোনো মুমিন এই পাঁচটি কাজের কোনো একটি কাজ থেকে নিজেকে গাফিল রাখতে চায় না। সূরা হজের ৭৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর (প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাও) যেমন জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে নিজের কাজের জন্যই বাছাই করে রেখেছেন। আর দীনের ব্যাপারে কোনো সঙ্কীর্ণতা চাপিয়ে দেননি। আর তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।” সূরা নিসার ৭৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, “তোমাদের কী হলো যে তোমরা আল্লাহর পথে লড়াই করবে না, অথচ অসহায় নারী, পুরুষ ও শিশুরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলছে, হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জনপদের জালিম অধিবাসীদের নিকট হতে বের করে নাও। আর আমাদের জন্য তোমার নিকট হতে একজন পৃষ্ঠপোষক অধিপতি নিয়োগ কর এবং তোমার নিকট হতে একজন সাহায্যকারী পাঠাও।” লেখক : সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, পিরোজপুর জেলা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির