post

জানা

অজানা ফেব্রয়ারী ১৪

২৬ জানুয়ারি ২০১৪

Janaঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয় যেভাবে নাসার অ্যাকুয়া স্যাটেলাইটের মডারেট রেজল্যুশন ইমেজিং স্পেকট্রোরেডিওমিটার (মডিস) যন্ত্রে ১৫ মে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের বিপুল শক্তি অর্জনের দৃশ্য ধরা পড়ে। ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে এর আগের দুই দিন ধরে ঘূর্ণিঝড়টি ঘনীভূত হচ্ছিল। চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের এ অংশে এটাই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। কখন, কোথায়, কোন ঝড় হয় তা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য এদের নামকরণ করা হয়। ১৯৪৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। পূর্বনির্ধারিত একটি নামের তালিকা থেকে একেকটি ঝড়ের নাম দেয়া হয়। কোনো ঝড়ের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার অর্জন করে, তাহলে তাকে একটি নাম দেয়া হয়। ১৯৯৯ সালে ওডিশায় ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড মেটিওরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডবি-উএমও) ও এসক্যাপ তাদের বৈঠকে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরুর বিষয়ে একমত হয়। ২০০৪ সালে প্রথম অনিল ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। মহাকাশে প্লাস্টিক! মহাকাশে এই প্রথমবার প্লাস্টিকের উপস্থিতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা আর এটি পাওয়া গেছে শনি গ্রহের সবচেয়ে বড় চাঁদ টিটানে। নাসা’র মহাকাশ যান ক্যাসিনি গত কয়েক বছর যাবত শনি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে। আমাদের সৌর জগতে যে সব মহাজাগতিক বস্তু তাদের সবার আবহ মণ্ডল নেই। এ দিক থেকে টিটান একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম এবং টিটানের আবহ মণ্ডল হাহাড্রোকার্বন দিয়ে তৈরি। টিটানের আবহ মণ্ডলের নিম্নভাগে স্বল্প মাত্রার প্রপাইলিনের উপস্থিতি নির্ণয় করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এটি নির্ণয় করা গেছে ক্যাসিনি মহাকাশযানে স্থাপিত কম্পোজিট ইনফ্রারেড স্পেক্টোমিটার (সিআইআরএস)-এর মাধ্যমে। টিটানে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা ভালভাবে বুঝতে পারবেন শনির এ চাঁদে রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা রসায়ন কি করে কাজ করছে।  আমাদের গ্রহ পৃথিবীর আবহ মণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আগে, সেই সুদূর অতীতে একই ভাবে রসায়ন করেছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। টিটানের ব্যাসার্ধ ২৫৭৪ এবং আকারে এটি বুধগ্রহের চেয়েও বড়। আমাদের সৌরমণ্ডলে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ। ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক সাফাই যারা ঘুমাতে ভালোবাসে, তাদের ঘুমকাতুরে, কুম্ভকর্ণÑ কত কী-ই না শুনতে হয়? শুনতে হয় ‘বেলা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমানো হচ্ছে?’’Ñ এমন তীর্যক মন্তব্য? তা ঘুম কি খুব খারাপ কাজ? ঘুমানো মানে কি সময় নষ্ট করা? বিজ্ঞানীরা মোটেই তা মনে করছেন না। বিশ্ববিখ্যাত ‘সাইন্স’ পত্রিকায় ঘুমের উপকারিতার বিশদ বিবরণ ছাপা হয়েছে? বলা হয়েছে, সারাদিন ধরে মানুষ যা কিছু করে বেড়ায়, তার ফলে মস্তিষ্কে আবর্জনা ভরে যায়। ঘুমানোর পর মস্তিষ্ক শান্ত হলে এসে পড়ে সাফাই-কর্মীরা। শুধু উলটো-পাল্টা চিন্তা নয়, ঘুম নাকি দূর করে নানা কঠিন রোগও? মানুষ যে সারা জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশই ঘুমিয়ে কাটায়, তা মোটেই কোনো ভুল নয়। গবেষণাগারে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা লক্ষ্য করেছেন, প্রথমে ‘সেরিব্রাল স্পাইনাল ফ্লুইড’ মস্তিষ্কের কোষে পাম্প করা হয়। তারপর দেখলেন, কীভাবে ঘুমানোর সময় কোষের মধ্য থেকে আবর্জনা বেরিয়ে যাচ্ছে মস্তিষ্কের শিরা বেয়ে। তারপর শরীরের ‘সার্কুলেটরি' ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তা দূর হয়ে যায়। এই আবর্জনার মধ্যে রয়েছে ‘অ্যামিলয়েড বেটা’-র মতো পদার্থ, যা এক ধরনের প্রোটিন। আল্সহাইমার রোগের অন্যতম কারণ এটি। গোটা প্রক্রিয়াটা এভাবে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। ঘুমানোর পর মস্তিষ্কের কোষগুলি প্রায় ৬০ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে ‘সেরিব্রাল স্পাইনাল ফ্লুইড’ আরও সহজে ও দ্রুত তার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে পারে। তাছাড়া মস্তিষ্কের মধ্যে ‘গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম’ নামে একটি ব্যবস্থা রয়েছে। ঘুমানোর পর তার গতি প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যায়। এই কাঠামোর মধ্যেই আবর্জনা সাফাইয়ের প্রক্রিয়া চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির