post

সম্পাদকীয়

২৭ অক্টোবর ২০১৫
সেই সংগ্রামী মানুষের সারিতে আমাকেও রাখিও রহমান, যারা কোরআনের আহবানে নির্ভীক নির্ভয়ে সব করে দান। - কবি গোলাম মোহাম্মদ ঈদ মানে আনন্দ। খুশির জোয়ার। ঈদের দিনটা অন্য দিনের চাইতে একটু ভিন্ন রকম। বর্ণিল সাজে নতুনের আয়োজন। কিন্তু প্রতিদিন যাদের বুকে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে তাদের ঈদ আনন্দ, ঈদ উৎসব কল্পনা ছাড়া বৈকি! বলছিলাম ফিলিস্তিনি মজলুম জনতার কথা। প্রতিটি সকাল যাদের শুরু হয় লড়াই ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের বর্বরতার প্রতি মুহূর্ত ভাবিয়ে তোলে বিবেকবান মানুষকে। ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক এ দাবি বিশ্বময়। মিয়ানমার, সিরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলিম নিধনের মিশন চলছে। বিশ্বমুসলিম নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই মুসলিম মিল্লাতের অর্জিত সালতানাতকে আবারো নিজেদের আয়ত্তে আনা সম্ভব। সম্প্রতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত অবস্থায় শাহাদাতবরণকারী ফিলিস্তিনের এক যোদ্ধার নাম এখন সবার মুখে মুখে। কী সাহসিকতা ছিল তাঁর বুকে! দুই পা হারানো এই সিপাহসালার হুইল চেয়ারে বসে হাতে বানানো গুলতি দিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আবারো প্রমাণ করলেন লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন বুকের ভেতরে জমানো হিম্মত। এ এক ঐশী আলো। ফাদি আবু সালাহ মুসলিম মিল্লাতের প্রেরণা। একটি বিল্পব, একটি বিজয়ের জন্য এমন একদল দুঃসাহসী সেনাপতির বড়ই প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস ফাদি আবু সালাহর রক্তের বিনিময়ে একদিন ফিলিস্তিনের মুসলমানরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে। ২. দেখতে দেখতে চলে গেল মাহে রমজান। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। তারাবি, সাহরি ও ইফতারি সময় ব্যবস্থাপনায় একটি শুদ্ধ জীবনের সন্ধান; পরিবর্তনের আহবান জানিয়ে গেল ফের। কিন্তু পরবর্তী ১১ মাস এমন শুদ্ধতার শুভ্রতায় জীবনকে রাঙাবার শপথ কি নিতে পেরেছি? মাহে রমজানের শিক্ষাগুলোই যেন আমাদের আগামী দিনের পথচলার পাথেয় হয় এবং একটি তাকওয়াভিত্তিক জীবনগঠনে নিজে সম্পৃক্ত রাখতে পারি আল্লাহর কাছে সেই তাওফিক কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির