বাংলাদেশ যেমন সুশাসন এবং স্বচ্ছতার দিক থেকে হতাশাগ্রস্ত একটি রাষ্ট্র; ঢাকা তেমনি অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ, অপরিকল্পিত, অব্যবস্থাপিত একটি শহর। কোনো ধরনের নীতিমালাই এ শহরের জন্য কার্যকর নয়। এখানকার স্বাস্থ্যসেবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের রোগ নির্ণয় ব্যয়ের সামর্থের ঊর্ধ্বে। এছাড়া সরকারি নজরদারির অভাব তো রয়েছেই। এজন্য মহামারি ডেঙ্গু আমাদের জন্য এক অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। যা বিপর্যস্ত করে দিয়েছে গোটা বাংলাদেশকে। ছোট ছোট শিশুদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে দেশের হাসপাতালগুলো। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আজাব থেকে রক্ষা করুন। বাংলাদেশকে নিয়ে যে ভারতের ষড়যন্ত্র নতুন নয় সেই গোমড়ই ফাঁস করলো প্রিয়া সাহা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বিশ্বমোড়ল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে নালিশ করেছে সে। এই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কিছুটা হলেও টনক নড়েছিল দেশবাসীর। রাজপথ গরম না হলেও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ও বিতর্কের তুফান উঠেছিল। কিন্তু এই ঝড় থেমে গেলো দেশে শিশু নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় কল্লা কাটা গুজব এবং গুজবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণপিটুনির ঘটনা এবং অতি উচ্চ জায়গা থেকে ধমক আসার পর। দেশটা কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে ভাবতেই গা শিউরে উঠে।
১৯৪৯ সালে ভারত-শাসিত জম্মু-কাশ্মির রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানে ৩৭০ ধারা অন্তর্ভূক্ত করেছিল। এর ফলে জম্মু-কাশ্মিরের ভারতীয় অংশ পায় বিশেষ মর্যাদা। সেই ৭০ বছরের ‘ঐতিহ্য’-কে কেড়ে নিল মোদি সরকার। পরস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় এই ধারা বাতিলের ঘোষণা দেয়। তার এই ঘোষণায় ফুঁসে উঠেছে গোটা কাশ্মির। এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে জম্মু-কাশ্মির পিপল্স মুভমেন্টসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আজকে কাশ্মিরে মুসলিমরা যেভাবে মার খাচ্ছে তেমনি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হচ্ছে নির্যাতিত। আবার বাংলাদেশে ইসকনের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে গোটা উপমহাদেশকে হিন্দু রাজ্য বানানোর চক্রান্ত করছে মোদি সরকার। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অবৈধ ফ্যাসিবাদ সরকার এই অরাজকতার প্রতিবাদ না করে মোদিকে একের পর এক সুযোগ দিয়েই যাচ্ছে। মোদির অবৈধ দখলদারিত্বের পরবর্তী টার্গেট হয়তো আমাদের এই বাংলাদেশ। সুতরাং এখনই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন আমাদের। স্বাধীন মুসলমানদের ঈমানী চেতনাকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে রুখে দাঁড়াতে হবে মোদি সরকারের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে।
আপনার মন্তব্য লিখুন