post

ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি, যুবলীগের জুয়ার আসর: দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে? । মো: নজরুল ইসলাম

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি, যুবলীগের জুয়ার আসর: দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে? । মো: নজরুল ইসলামবাংলাদেশের ভাষা-আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা আন্দোলন, ’৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় ইতিহাস দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ছাত্রদের আপসহীন ভূমিকা প্রশংসনীয়। জাতির প্রয়োজনে নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ. কে. ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো অনেকেই। স্বাধীনতা-পরবর্তী নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি, আশির দশকে ছাত্রদেরকে অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণের ফলে ছাত্ররাজনীতির চর্চা বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে বাঁধভাঙা স্রোতের ন্যায় ’৯০ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের তোপের মুখে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ছাত্ররাজনীতিতে স্বকীয়তা ধরে রাখার পরিবর্তে লেজুড়বৃত্তি, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি ও নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এ সুযোগে সুবিধাভোগীরা ছাত্রদেরকে বিনিময়ে পেশাদারে পরিণত করে। যোগ হয় মাদক, নকল, অস্ত্র, ধর্ষণের মতো অনৈতিক কাজের প্রতিযোগিতা, যা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া মানিকের ধর্ষণ-সেঞ্চুরি। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় ছাত্রদের মধ্যে ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের পিপাসা থাকলেও দীর্ঘদিনের ধ্বজাধারী লেজুড়বৃত্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ছাত্রসংগঠনগুলো। ফলে তাদের মাঝে নতুন মাত্রায় যোগ হয় চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য। পরবর্তীতে ছাত্ররাজনীতি লাঠিয়াল বাহিনী ও বাণিজ্যনির্ভর হয়ে পড়ে। নেতৃবৃন্দের গ্রুপিং ও বড় ভাইদের নিয়ন্ত্রণ ও অর্থের লোলুপদৃষ্টি সামলাতে না পেরে নিজেরা নিজেদের একে অন্যকে হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। একসময় হত্যা, সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি নেশা ইত্যাদি তাদের পেশায় পরিণত হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন সরকার গঠন করলে আবার পুরনো ধাঁচে আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হয় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার রেওয়াজ। প্রায় ১৩২টি প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়। যার সর্বশেষ আগুনের শিকার হয় সিলেট এমসি কলেজ। আর ক্যাম্পাসের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ পাহারাদারির দায়িত্বে রাখা হয় ছাত্রদেরকে এবং সকল অনৈতিক কাজকে বৈধতা দেয়া হয়। ফলে ছাত্ররা জড়িয়ে পড়ে ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা, ভর্তিবাণিজ্য, টেন্ডারবাণিজ্য, শিক্ষক-নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অপরাধে। যেহেতু বাণিজ্যই নেতৃত্ব চর্চার লক্ষ্য, তাই টেন্ডারসহ যেকোনো কিছু আদায় করতে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি কখনও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা এমনকি শিক্ষককে অপমান করতে দ্বিধাবোধ করেনি। দলীয় পেশিশক্তির প্রয়োজনে রাজনীতিবিদরা অন্ধের মতো সকল অপরাধকে বৈধতা দিয়েছেন। এই অবাধ সুযোগের হাত ধরে দীর্ঘ পৌনে ১১ বছর থেকে ক্ষমতার আসনে আওয়ামী লীগ। এখন হঠাৎ করে সন্তানদের শাসন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতির ছাঁকুনি-ঝাঁকুনির মধ্যে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা পদ হারালেন। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লো যুবলীগের নেতৃত্ব। এ বছরের ৩১ জুলাই দায়িত্ব নেয়া ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠনের পাঁচ মাসের মাথায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিদায় নিতে হলো চাঁদাবাজির অপবাদ মাথায় নিয়ে। ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে উন্নয়নকাজের ‘ফেয়ার শেয়ার’ হিসেবে ১৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার, ভর্তিবাণিজ্যসহ সকল অপরাধের সাথে ছাত্রলীগ জড়িত। যদি খতিয়ে দেখা হয় যেসকল প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন হয় তার সাথে টেন্ডার, নিয়োগ, ভর্তিবাণিজ্য, মাদক অথবা কোনো নেতার স্বার্থ জড়িত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে নাম দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির অপমান, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি হটাও আন্দোলন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা কখনও প্রকাশ পায়নি অপমানের ভয়ে বা অন্ধ আনুগত্যের কারণে। ছাত্ররাজনীতির এমন করুণ পরিণতি দেখে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে দেশাত্মবোধ ও নীতি- নৈকিতকতার প্রতিযোগিতার পরিবর্তে নিজ স্বার্থের প্রাধান্য বাড়তে শুরু করেছে। ফলে মেধাবী ও বিবেকবান ছাত্ররা ছাত্ররাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যেহেতু ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেরিয়ে আসার কথা ছিল। ছাত্রসমাজ দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা হারিয়েছে যার স্বেচ্ছাচারী একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় ডাকসু নির্বাচনে ফলাফল এবং ডাকসুর ভিপির ওপর বার বার হামলা নির্যাতন দেখে। নদীর স্রোতের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হলে বা বন্ধ করলে বিকল্প পথে বাঁধ ভেঙে গেলে সে বাঁধ আর ধরে রাখা যায় না। ছাত্রদের কোটাবিরোধী ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন যার প্রমাণ। আজ দেশের এই করুণ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদী ছাত্র ও জনতা যেকোনো সময় রাস্তায় বেরিয়ে আসতে পারে। ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার পর যুবলীগের বিরুদ্ধে অভিযান চালালো দলটি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এর আগে দলের মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় বলেছিলেন, ‘যুবলীগের একজন নেতা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে; চাঁদাবাজি করছে। আরেকজন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলে। সবার আমলনামা আমার কাছে আছে।’ অন্যদিকে শোভন ও রাব্বানী ছাত্রলীগ থেকে বাদ পড়ার পর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আল নাহিয়ান খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। দুই ভারপ্রাপ্তের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘কোনো নালিশ শুনতে চাই না। ছাত্রলীগের পর যুবলীগ ধরেছি। সমাজের অসঙ্গতি এখন দূর করব। একে একে এসব ধরতে হবে। জানি কঠিন কাজ, কিন্তু আমি করব।’

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রথম আলো পত্রিকা রিপোর্ট করেছিল, ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ক্লাব প্যাভিলিয়ন, আরামবাগ ক্লাব, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ডিটিএস ক্লাব, আজাদ বয়েজ ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, বিজি প্রেস স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়াচক্রসহ বিভিন্ন ক্লাবে “ইনডোর গেমস”-এর নামে জুয়া খেলা চলে। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে ঢাকা শহরে ৬০টির মতো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর আছে; যার বেশির ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে যুবলীগ। খালেদ মাহমুদ ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি আরও ১৬টি ক্লাবে জুয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। যুবলীগের আরেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটও ক্যাসিনো ব্যবসা চালায়। এই সূত্র ধরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার বনানী, মতিঝিল, ফকিরাপুল ও গুলিস্তানের ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৩ ও ১। ক্রীড়া সংগঠনের নামের আড়ালে রঙিন আলো ও আধুনিক সাজসজ্জায় সজ্জিত এসি রুমের এসব ক্যাসিনোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে করা, যাতে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতেই ভয় পায়। ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করে। একই দিনে র‌্যাব সদস্যরা ফকিরেরপুলে অবস্থিত তাঁর মালিকানাধীন ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর যন্ত্রপাতি, বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ, সেখান থেকে কর্মচারীসহ ১৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তারা ইয়ংমেনসসহ গুলিস্তান, বনানী ও ফকিরেরপুলের চারটি ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) সিলগালা করে দেন। অন্যদিকে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর ও নগদ সোয়া কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। প্রধানমন্ত্রী যাকে দিনের বেলা অস্ত্র উঁচিয়ে চলার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে ৫৯ বছর বয়সী যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তথা সরকারকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, ‘এতদিন কে কোথায় ছিলেন? তাঁর যুবলীগে এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তৈরি হলো কিভাবে? কী জবাব দেবেন? আমাকে অ্যারেস্ট করবেন? করেন। আমি রাজনীতি করি; ১০০ বার অ্যারেস্ট হব। আমি অন্যায় করেছি; আপনারা কী করেছিলেন? আপনি অ্যারেস্ট করবেন, আমি বসে থাকব না। আপনাকেও অ্যারেস্ট হতে হবে। কারণ, আপনিই প্রশ্র্রয় দিয়েছেন।’ তাঁর প্রশ্ন ‘এখন হঠাৎ করে কেন জেগে উঠলেন? কারণটা কী? এটা কি বিরাজনীতিকরণের দিকে আসছেন? দলকে পঙ্গু করার কোনো ষড়যন্ত্রে আসছেন? নিষ্ক্রিয় করার ষড়যন্ত্রে আসছেন?’ এই ঘটনায় মোটেই লজ্জিত হননি তিনি। বরং প্রশ্ন করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন এ সময়ে অভিযান চালাল। তিনি ক্ষিপ্ত হয়েছেন সাংবাদিকদের উপরেও। তাদের বলেন, পত্রপত্রিকা জানার পর এত দিন লেখেনি কেন? লুকিয়ে রেখেছিল?

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, “র‌্যাবের কাছে অভিযোগ আছে ক্লাবগুলোতে আট মাস ধরে অবৈধ আসর বসত। অভিযানের সময় দেখা যায় ক্লাবের নিচতলায় যন্ত্রের মাধ্যমে জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) চলছে। এ ছাড়া জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে মদ পান করা হচ্ছে। যাঁরা এই ক্লাবে এসেছেন তাঁরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তিদের মদ পানের লাইসেন্স নেই এবং ক্লাবগুলোরও মদ বিক্রির লাইসেন্স নেই। ক্যাসিনোতে চীন ও নেপালি নাগরিকদের পাসপোর্ট ও নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। কয়েকজন চীনা ও নেপালি নাগরিককে পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের তথ্য রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে নেপালের দুজনের নাম হলো ভুপেস ও সঞ্জয়। তারা ক্যাসিনোতে কাজ করেন। এ ছাড়া মেঘা ও লিজা নামের দুই তরুণী আটক হয়। পরে তাদেরকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। ক্যাসিনোতে তারা ‘ডিলার’ পদে চাকরি করেন বলে জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই কিন্তু এর প্রয়োজন ছিল আরো অনেক আগে। এখন তো এই প্রজন্মটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এই অপরাজনীতির পাশাপাশি এর জন্য দায়ী নৈতিকতাবিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতিবিদদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, সামাজিক অবক্ষয়, ছাত্ররাজনীতিকে বাণিজ্যিকীকরণ, আকাশ সংস্কৃতির অবাধ সুযোগ সুবিধা। আজকের ছাত্র আগামী জাতির ভবিষ্যৎ। কিন্তু এ ধরনের নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত নেতৃত্ব কিভাবে জাতির নেতৃত্ব দিতে পারবে? আশা করি আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এহেন পরিস্থিতি থেকে জাতিকে পুনরুদ্ধারে দেশের মূল চালিকাশক্তির এগিয়ে আসা সময়ের দাবি।

লেখক : প্রাবন্ধিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির