post

স্বপ্ন যখন বিসিএস । মো: সাইফুল আলম ও মো: মোবারক হোসেন

০২ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে বিসিএস এখনও সমাজের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি। দু-একটি ক্ষেত্র ব্যতীত চাকরি নিরাপত্তা এবং সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণে বিসিএসের বিকল্প বাংলাদেশে নেই। দেশের রাজনৈতিক সরকার জনগণের স্বার্থে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেটা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর বর্তায় এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন বিসিএস কর্মকর্তারা। সুতরাং এ চাকরির মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যেতে পারেন। সম্প্রতি (১১-০৯-১৮) ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (BPSC)।

বিসিএস : প্রস্তুতি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম-২য় বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। বিসিএস পরীক্ষার বিস্তৃতি যেমন ব্যাপক তেমনি এর প্রস্তুতি কিন্তু সহজ। কেন এই বিস্তৃতি (Dispersion)? আসলে কর্তৃপক্ষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মানসিক, শারীরিক ও জ্ঞানগত দিক থেকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষকে নির্বাচন (Select) করতে চায়। মানসিক দিক দিয়ে যে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে মানানসই করতে পারা বিসিএস কর্মকর্তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং জ্ঞানজগতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার বিচরণ করার ক্ষমতা জরুরি। এর অর্থ এই নয় যে সব বিষয়েই বিশেষজ্ঞ হতে হবে। বরং সকল ক্ষেত্রে প্রাথমিক ধারণা থাকাই যথেষ্ট। সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর বিসিএস প্রস্তুতির মাধ্যমে সকল চাকরির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। বিসিএস ক্যাডার নিয়োগপ্রক্রিয়া ও কাজের ধরন অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক. জেনারেল ক্যাডার, দুই. প্রফেশনাল ক্যাডার।

জেনারেল ক্যাডার রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার প্রতিটি পর্যায়ে সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কারণে সামাজিক দিক থেকে এদেশে প্রফেশনাল ক্যাডারের চেয়ে জেনারেল ক্যাডারকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা।

সাধারণ ক্যাডারসমূহ- ০১. বিসিএস (প্রশাসন) ০২. বিসিএস (আনসার) ০৩. বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ০৪. বিসিএস (সমবায়) ০৫. বিসিএস (ইকোনমিক) ০৬. বিসিএস (পররাষ্ট্র বিষয়ক) ০৭. বিসিএস (তথ্য) ০৮. বিসিএস (পুলিশ) ০৯. বিসিএস (ডাক) ১০. বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক) ১১. বিসিএস (টেক্স) ১২. বিসিএস (কাস্টমস) ১৩. বিসিএস (কো-অপারেটিভ) ১৪. বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ১৫. বিসিএস (ট্রেড)

প্রফেশনাল ক্যাডার বিশেষায়িত জ্ঞানের মাধ্যমে রাষ্ট্র তথা সমাজকে উপকৃত করাই এই ক্যাডারসমূহের মূল লক্ষ্য। বিসিএস প্রফেশনাল ক্যাডারের সদস্য হতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (চার বছর মেয়াদি) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা আবশ্যক যেমন সরকারি কলেজের শিক্ষক হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্নাতক (৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স) অথবা স্নাতকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হয়।

প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডারসমূহ- ০১. বিসিএস (কৃষি) ০২. বিসিএস (মৎস্য) ০৩. বিসিএস (খাদ্য) ০৪. বিসিএস (স্বাস্থ্য) ০৫. বিসিএস (তথ্য) ০৬. বিসিএস (পশু সম্পদ) ০৭. বিসিএস (গণপূর্ত) ০৮. বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল) ০৯. বিসিএস (সড়ক ও জনপদ) ১০. বিসিএস (ডাক) ১১. বিসিএস (বন) ১২. বিসিএস (পরিসংখ্যান) ১৩. বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)

ক্যাডার পছন্দ

বিসিএস প্রত্যাশীদের ফরম পূরণের সময় সবচেয়ে সমস্যায় ভোগে কোন ক্যাডার পছন্দ করবে তা নিয়ে। ক্যাডার পছন্দের বিষয়টা প্রার্থীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ ও কাস্টমস ক্যাডারকে সবার আগে পছন্দের তালিকায় রাখে। নিম্নে কিছু ক্যাডার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। বিসিএস (পররাষ্ট্র): যেদিন থেকে পৃথিবীতে শাসনতন্ত্র শুরু হয়েছে তার পর থেকে শুরু হয়েছে কূটনীতি। আর সব সময় কূটনীতিক প্রতিনিধিরা হয়ে থাকেন সর্বাধিক শিক্ষিত, মেধাবী ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন ব্যক্তি, এই ক্যাডারে সাধারণত খুব কম পোস্ট (Post) থাকে তাই প্রতিযোগিতা হয় সবচেয়ে বেশি। যোগদান করার পর থেকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পোস্টিং (Posting) হয়। বিদেশে পোস্টিং (Posting) হতে ৬ থেকে ৭ বছর সময় লাগে। বিদেশে পোস্টিং (Posting) হলে সকল ধরনের কূটনীতিক সুুবিধাসমূহ পাওয়া যায়। এই ক্যাডারের প্রমোশন গ্রোথ (Promotion growth) অনেক ভালো, কারণ কম লোক নেয়া হয় আর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মিশন সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিসিএস (প্রশাসন) : প্রশাসন ক্যাডারকেই মূলত দেশ পরিচালনার মূল হাতিয়ার বলে থাকেন অনেকেই। এই ক্যাডারে মফস্বল থেকে পোস্টিং (চড়ংঃরহম) শুরু হয়, তাই জনগণের সাথে কাজ করার সুুযোগ থাকে বেশি। চাকরিতে ঢুকে ডিসি অফিসে কাজ করতে হয় (স্বল্পসংখ্যক প্রশাসন ক্যাডার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হিসেবেও কাজ করে থাকে)। মোটামুটি ৬ থেকে ৭ বছর পর ইউএনও হওয়া যায়। একজন ইউএনও হচ্ছেন উপজেলা পর্যায়ের প্রধান সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এই ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করে থাকেন। এমনকি চাকরি শেষে যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে থাকেন। যেমন: নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, পিএসসির চেয়ারম্যান/মেম্বারসহ আরও অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে। বিসিএস (পুলিশ): সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে এই ক্যাডারের যাত্রা শুরু। আজকের একজন সহকারী পুলিশ সুপারই হবেন আগামী দিনে পুলিশের মহাপরিদর্শক। এই ক্যাডারের লজিস্টিক সাপোর্ট খুব ভালো যেমন: রেশন, গাড়ি, কোয়ার্টার সুবিধা। এই ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ সবচেয়ে বেশি পাওয়ার প্র্যাক্টিস (Power Practice) করে থাকেন। (বিসিএস) কাস্টমস : কাস্টমস ক্যাডাররা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি ডিভিশন বা উইং হিসেবে কাজ করে থাকে। ঢাকার বাইরে পোস্টিং (Posting) হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বৈধ উপায়েও প্রচুর টাকা আয়ের সুযোগ আছে, যেমন চোরাচালান ও ফাঁকি ধরতে পারলে সরকারিভাবে মূল্যভেদে ১০% থেকে ৪০% পর্যন্ত পুরস্কার দেয়া হয়। লজিস্টিক সাপোর্ট বেশ ভালো। যেমন: গাড়ি ও বাসস্থান সুবিধা। (বিসিএস) ট্যাক্স : ট্যাক্সও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি ডিভিশন বা উইং হিসেবে কাজ করে। চাকরির প্রথম দিকে ঢাকার বাইরে পোস্টিং (Posting) বেশি। কাস্টমসের মত বৈধ উপায়ে টাকা আয়ের সুুযোগ বেশি। (বিসিএস) ইকোনমিক : ইকোনমিক ক্যাডারে ফরেন ক্যাডারের পর সবচেয়ে বেশি দেশের বাইরে যওয়ার সুযোগ থাকে। এবং সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে তাদের জন্য যারা ঢাকায় থাকতে চায়। এই ক্যাডারের কর্মকর্তা বেশি ঢাকায় থাকতে পারে কারণ পুরো চাকরিজীবনে চাকরি করতে হয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে। বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ট্রেনিংয়ের অধিকতর সুুুুযোগ। প্রোমোশন গ্রোথ (Promotion growth) মোটামুটি ভালো। ডেপুটেশনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া যায়। এসব সংস্থায় বেতন অনেক বেশি। (বিসিএস) অডিট : সরকারি যত হিসাব-নিকাশ ও তদারকির কাজ আছে তা পালন করে থাকেন এই ক্যাডাররা। প্রোমোশন গ্রোথ (Promotion growth) মোটামুটি ভালো। দেশে-বিদেশে ট্রেনিং ও টুু্যুরের ব্যবস্থা আছে। এই ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ একটি সাংবিধানিক পদ। অন্যান্য ক্যাডাররা এই ক্যাডারকে সমীহ করে থাকেন, কারণ অডিট সব প্রতিষ্ঠানেই হয়ে থাকে। অন্য প্রতিষ্ঠানের ভুল ধরাই এদের কাজ। রাজনৈতিক প্রভাব তুলনামূলক কম। (বিসিএস) আনসার : কাজের চাপ কম, লজিস্টিক সাপোর্ট বেশ ভালো। চাকরির প্রথম থেকেই গাড়ি সুবিধা পাওয়া যায়, এ ছাড়া বাসস্থানের সুবিধাতো আছেই। এই ক্যাডারটা তুলনামূলক নিরিবিলি ও কম ঝামেলা সম্পন্ন।

এ ছাড়াও বিসিএসের অন্যান্য জেনারেল ক্যাডার এবং প্রফেশনাল ক্যাডারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। প্রার্থীকে যে ধাপগুলো উত্তীর্ণ হতে হবে: ১. প্রিলিমিনারি ক. প্রার্থীকে ২০০ (দু’শত) নম্বরের একটি এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, সময় ২ ঘন্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয় ওমানবণ্টন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫ বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০ ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব:পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) ১০ সাধারণ বিজ্ঞান ১৫ কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫ গাণিতিক যুক্তি ১৫ মানসিক দক্ষতা ১৫ নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ১০

খ. সাধারণত একজন শিক্ষার্থী এমসিকিউ পরীক্ষায় ৬০% - ৬৫% নম্বর পেয়ে নিজেকে সেভ জোনে রাখতে পারেন। গ. প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে (www.bpsc.gov.bd)।

২. লিখিত ক. যারা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও মানবন্টন সাধারণ ক্যাডার বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ২০০ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ২০০ বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০) ১০০ সাধারণ বিজ্ঞান ১০০ মোট = ৯০০

প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ২০০ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ২০০ বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০০ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১০০ গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০ +৫০) ১০০ সাধারণ বিজ্ঞান ১০০ বিষয়ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট পদ ২০০ মোট = ১১০০

খ. প্রার্থীদের জন্য সকল বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আবশ্যক । গ. লিখিত পরীক্ষার গড় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৫০%। লিখিত পরীক্ষায় কোন প্রার্থী কোন বিষয়ে ৩০% নম্বরের কম পেলে তিনি উক্ত বিষয়ে কোন নম্বর পাননি বলে গণ্য হবেন। ঘ. লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে (www.bpsc.gov.bd)।

৩. মৌখিক পরীক্ষা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের যোগ্য হবেন। মৌখিক পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর ২০০ এবং পাস নম্বর ৫০% অর্থাৎ ২০০ নম্বরের মধ্যে পাস করতে হলে ১০০ নম্বর পেতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৪. স্বাস্থ্য পরীক্ষা যারা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং কমিশন কর্তৃক সাময়িকভাবে সুুুপারিশ প্রাপ্ত হবে কেবল তারাই স¦াস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের সম্মুখে হাজির হতে পারবেন। মেডিক্যাল বোর্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালীন প্রার্থীদের নিম্নোক্ত দৈহিক যোগ্যতা থাকতে হবে।

ক্যাডারের নাম পুরুষ/মহিলা ন্যূনতম উচ্চতা ন্যূনতম ওজন বিসিএস পুলিশ ও আনসার পুরুষ প্রার্থী ৫.৪” (১৬২.৫৬ সে.মি.) ১২০ পাউন্ড (৫৪.৫৪ কেজি) মহিলা ” ৫’ (১৫২.৪০ সে.মি.) ১০০ পাউন্ড (৪৫.৪৫ কেজি) অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ১. পুরুষ প্রার্থী ৫' (১৫২.৪০ সে.মি.) ৯৯.১১ পাউন্ড (৪৫ কেজি) ২. মহিলা”৪.১০’’ (১৪৭.৩২ সে.মি.)৮৮.১০ পাউন্ড (৪০ কেজি)

পড়তে হবে যা যা বাজারে প্রচলিত বিসিএস সিরিজের যে কোন একসেট বই। যেমন- প্রফেসরস সিরিজ অথবা ওরাকল সিরিজ। এছাড়াও সহায়ক বই হিসেবে কিছু বই শুরু থেকে আপনার সঙ্গী হওয়া উচিত। এগুলো হল (১) বাংলাদেশের সংবিধান (২) ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বইগুলি। (৩) নবম ও দশম শ্রেণির একসেট বই (৪) বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ম্যাপ (৫) Oxford Advanced Learner’s Dictionary (৬) ক্যারিয়ার এইড সাধারণ জ্ঞান, Professor`s Competitive Exam (৭) বাংলা একাডেমি প্রণীত ইংরেজি বাংলা অভিধান এবং বাংলা টু বাংলা অভিধান। এ ছাড়া প্রতি মাসে প্রকাশিত যে কোন একটি চাকরির তথ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন। যেমন- কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, মাসিক জ্ঞানপত্র এবং দৈনিক বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা ইত্যাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির