post

মতিউর রহমান মল্লিক অন্য উন্মোচন

আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

১১ মার্চ ২০২১

[প্রথম কিস্তি]

বাংলাসাহিত্যের এক ক্ষণজন্মা কবি, গীতিকার, সুরকার, সাহিত্যিক, সংগঠক ও সাংস্কৃতিক সেনাপতি মতিউর রহমান মল্লিক ২০১০ সালের ১২ আগস্ট, পহেলা রমজান মহান রবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। মৃত্যুর এক দশক পর ২০২০ সালে দেশে-বিদেশে তার স্মরণে নানা আয়োজন করা হয়। এ সকল আয়োজনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় উঠে আসে কবির বর্ণাঢ্য জীবন, বৈচিত্র্যময় সৃষ্টিকর্ম, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জীবনভর সংগ্রামের কাহিনী, পথিকৃৎ হিসেবে গড়ে তোলা আদর্শিক-সাংস্কৃতিক ধারা ইত্যাকার নানা বিষয়।

মতিউর রহমান মল্লিক অনেকের বিবেচনায় স্বল্পপ্রজ লেখক। বাস্তবে তা নয়। জানামতে তার প্রধান সৃষ্টিকর্ম গান। অসংখ্য গীতিকবিতার পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন অনন্য সব কবিতা। সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে তার প্রবন্ধসম্ভারও ঋদ্ধ। এর বাইরে রয়েছে তার অনূদিত কিশোর উপন্যাস। আশা করছি এ বছরই পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত মল্লিক রচনাবলি আমাদের হাতে এসে পৌঁছবে।

বাংলাসাহিত্যে নজরুলের পর ফররুখ আহমদই শক্তিমত্তার সাথে ইসলামী ধারার কবিতা ও গান রচনা করে বিদগ্ধ পাঠক-পাঠিকাদের মনে স্থান করে নেন। এদের পর অন্য অনেকে ইসলামী ধারার সাহিত্য রচনা করলেও তাদের স্বতন্ত্র কোনো বিশিষ্টতা না থাকায় বড় কোনো ঢেউ তৈরি করতে পারেননি। এই একটি জায়গায় মল্লিক স্বতন্ত্র, ভাগ্যবান ও আপন কীর্তিতে ভাস্বর। এদেশে সাহিত্য-সংস্কৃতিকে কুক্ষিগত করার একটি দীর্ঘ ও দুষ্টু প্রক্রিয়া চলে আসছে অনেক দিন ধরে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, বিত্তশালীদের সরাসরি সহযোগিতা, মিডিয়ার আনুকূল্যসহ এন্তার বিষয় রয়েছে যা মূল্যবোধ-ধ্বংসী সাহিত্য-সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন সাহিত্য-সংস্কৃতির মূল্যবোধ বিবেচনা নিয়ে। যারা Art for Art sake বা শিল্পের জন্য শিল্পের কথা বলে এ বিবেচনাটিকে পাশ কাটাতে চান তারা নিজেরাও খুব ভালো করে জানেন মূল্যবোধবর্জিত সাহিত্য-সংস্কৃতি আদতেই কোনো স্থায়ী সৃষ্টি নয়। কালান্তরে এসব সৃষ্টি ভাগাড়ে স্থান করে নেয়। মতিউর রহমান মল্লিককে নিয়ে এখনও বড় কোনো কাজ হয়নি। বেশ কয়েকজন সাহিত্য গবেষক তাকে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আশা করি অচিরেই আমরা তাদের গবেষণাকর্মের সাথে পরিচিত হবো।

ব্যক্তিগতভাবে মতিউর রহমান মল্লিকের সাথে আমার সম্পর্কের ব্যাপ্তি ১৯৭৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত। ৩২টি বছর একটি দীর্ঘ সময়। মহাকালের বিবেচনায় যদিও তা একটি বুদবুদের মতো তবুও মানতেই হবে তাঁর কর্মময় জীবনের প্রধান সময়কাল এ সময়ের মধ্যেই আবদ্ধ। তাঁর সাথে আমার প্রথম দেখা একটি সম্মেলনে। মুগ্ধতার সাথে তার গান শুনলাম, এগিয়ে গিয়ে পরিচিত হলাম, ঠিকানা বিনিময় করলাম। সেসব দিনে মুঠোফোন এমনকি ল্যান্ড ফোনও সবার ছিলো না। পরবর্তী বছরগুলোতে নানাভাবে, নানা পরিচয়ে, নানা মাত্রায় তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠতা হয়, মত ও ভাবের আদান-প্রদান হয়, মাঝে মাঝে মতভেদও হয়। কিন্তু কখনো আমাদের ভুল বোঝাবুঝিগুলো স্থায়ী হয়নি। এর প্রধান কারণ, আমাদের এ হৃদ্যতা, ঘনিষ্ঠতা, বিরোধ এর সবকিছুই ছিলো একটি আদর্শের টানে, এক আল্লাহর ভালোবাসার টানে।

আগাগোড়াই একক সংগঠক তিনি

মল্লিক রচনাবলি-সবার হাতে যাওয়ার আগেই তাকে নিয়ে ‘অন্য উন্মোচন’ শিরোনাম লেখার ইচ্ছেটা জেগে উঠেছে অন্য কারণে। সাহিত্য-সংস্কৃতির একজন একনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ কারিগর হিসেবে তার যে শৈল্পিক মূল্যায়ন হবে তা সময়ের সাথে সাথে বিচিত্রতা ও গভীরতা লাভ করবে, এ ব্যাপারে আমি সন্দেহমুক্ত। যেমন মৃত্যুর আগে তার মূল পরিচয় স্থির হয়ে গিয়েছিল গীতিকার, সুরকার ও গায়ক হিসেবে। মৃত্যুর পর দিন যতই যাচ্ছে ততই তার কাব্যকীর্তি আলোচনায় উঠে আসছে। এ আলোচনা ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। বাংলাসাহিত্যের বর্ণিল বাগানে তাঁর কবিতার রঙ ও সৌরভ আপনা হতেই ছড়িয়ে পড়বে। আজ আমার মূল আলোচনা আদর্শিক প্রচারক, সংগঠক ও ত্যাগী পুরুষ মতিউর রহমান মল্লিকের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা।

পারিবারিকভাবেই কবি ছিলেন গান, গজল, ছড়া, কবিতার সফল উত্তরাধিকারী। তার বাবা মুন্সি কায়েম উদ্দিন মল্লিক একজন খ্যাতিমান পালাগান রচয়িতা ছিলেন। একইভাবে বড়ভাই আহমদ আলী মল্লিকও একজন স্বনামধন্য কবি। বাবার মৃত্যুর পর এই বড় ভাই-ই ভাইবোনদের মাঝে সবার কনিষ্ঠ মতিউর রহমান মল্লিকের সামগ্রিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মতিউর রহমান মল্লিক সেই ছোটবেলা থেকেই কবি হওয়ার নেশায়, বন্ধুদের নিয়ে ক্লাব গড়ার পাগলামিতে মত্ত হয়ে পড়েন। স্কুলশিক্ষক বড় ভাই আহমদ আলী মল্লিক এতে ক্ষিপ্ত হন। বাদ সাধেন ভাইয়ের এই অতিমাত্রায় দৌড়ঝাঁপে। যাই হোক, মল্লিক বড় ভাইয়ের এই শাসনের মধ্যে থেকেও সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েন ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের সাথে। মেধাবী ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি তাঁর দরদি গান, কবিতা ও সাংগঠনিক ক্ষমতা তাঁকে ছোটবেলাতেই জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

কবি ১৯৬৮ সালে বাগেরহাটের বারুইপাড়ায় নিজগ্রামে গড়ে তোলেন “সবুজ কাঁচার আসর” নামক শিশুসংগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠে বারুইপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব, সবুজ মিতালী সংঘ এবং আল আমিন যুব সংঘ। তখনকার দিনের সাহসী অন্য তরুণদের মতো তিনি সেই গ্রামে বসেই প্রকাশ করেন হাতে লেখা দেয়াল পত্রিকা ‘দুঃসাহসী’। একজন দুরন্ত কিশোর, দুঃসাহসী সংগঠক ও স্বপ্নবাজ লেখক হিসেবে মতিউর রহমান মল্লিকের জীবন এগিয়ে যেতে থাকে সামনের দিকে।

সে সময় তার যারা সহযোগী ছিলেন তাদের অনেকেই জাতীয় পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত ব্যক্তিত্ব। কবি মল্লিক তাদের চোখে এঁকে দিয়েছিলেন নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা আর হৃদয়ে গেঁথে দিয়েছিলেন সৃজনের উন্মাদনা। ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে মতিউর রহমান মল্লিক যুক্ত থাকেন ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাসেম আলীর ‘ঈগল চোখে’ ধরা পড়ে যান এই নীরব অথচ ঝংকার সৃষ্টিকারী কবি। মীর কাসেম আলী তাকে নিয়ে আসেন ঢাকায়। তার হাতে তুলে দেন একটি নতুন দায়িত্ব। বাগেরহাটের পথে পথে যে জাগরণের গান তিনি গেয়েছিলেন সেই গান সারা বাংলার পথে প্রান্তরে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার এক বিশাল বোঝা তার কাঁধে তুলে দেয়া হয়।

আলু বাজারের একটি ছোট বাসায় মেসের বাসিন্দা হিসেবে ঢাকার জীবন শুরু হয় তার। পাশেই জগন্নাথ কলেজ। কবি সেখানে বাংলা অনার্স ক্লাসে ভর্তি হন। তার ডাগর ডাগর চোখ, ঝাঁকড়া চুলের বাহার আর বুদ্ধিদীপ্ত অংশগ্রহণ ছাত্রছাত্রীদের গণ্ডি ছাড়িয়ে তাঁর শিক্ষক কবি আব্দুল মান্নান সৈয়দ, মমতাজ উদ্দিন আহমদ আর অধ্যাপক শওকত আলীর মতো বড় মাপের কবি সাহিত্যিক ও শিক্ষকদের ¯েœহের নজর কেড়ে নেয়। ১৯৭৮ সালেই তার নিরলস প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি, শিল্পী, গীতিকার, সুরকারদের নিয়ে গড়ে উঠে মরুভূমির ঝড়ের আবেগে ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’। সেই যে পথচলা তারই পথ ধরে চট্টগ্রামে ‘পাঞ্জেরী’, ‘বরিশালে হেরার রশ্মি’, খুলনায় ‘টাইফুন’, রাজশাহীতে ‘প্রত্যয়’ সহ দেশের সব বড় শহরেই একটি একটি সাংস্কৃতিক, সাহিত্য সংগঠন।

সংস্কৃতি আগে না রাজনীতি? যে অর্থে সংস্কৃতিকে আমরা বিবেচনা করি সে অর্থে সংস্কৃতিকে আমরা লালন পালন করি না। কথাটি শুনতে ভিন্ন রকম শোনা গেলেও বাস্তবতা এটাই। অন্তত পক্ষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এ কথারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের খ্যাতিমান ধর্মীয় উস্তাদগণ, পীর সাহেবগণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ রাজনীতি ও ইসলামকে আলাদা করে ভাবতেন। মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর উনার মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে “খেলাফত মজলিশ’’ নাম দিয়ে রাজনীতিতে আবির্ভূত হন এবং প্রেসিডেন্ট পদে ‘বটগাছ’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। আস্তে আস্তে তারাও মিছিলে নামেন, শ্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন, এমনকি অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। অথচ এরাই একসময় ‘জামায়াতে ইসলামী’ রাজনীতি করে বলে ইসলাম থেকে খারিজ বলে দাবি করতেন। বাংলাদেশে নতুন ধারার ইসলামী সংস্কৃতির কার্যক্রম আঞ্জাম দিতে গিয়ে মতিউর রহমান মল্লিক ও তার সহযাত্রীদের প্রচুর বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আজ সে অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু বাংলাদেশই নয় এখন বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে এবং হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতির দিগন্ত। কেবল মল্লিক ও তার অনুসারীদের গড়ে তোলা সাংস্কৃতিক সংগঠন নয়, যুক্ত হয়েছে পীর সাহেবদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা নতুন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীও। ণড়ঁঃঁনব, ঋধপবনড়ড়শ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে সব সংগঠনের গাওয়া গান মানুষের হৃদয়ে আশার দোলা লাগাচ্ছে। আমরা বড় বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কোটি টাকা বাজেটের কর্মসূচিও হাতে নিতাম, নিই এবং ভবিষ্যতেও নেবো। অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে সব কর্মসূচি সাময়িক সাফল্য আনে, অনেক সময় তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না বরং বড় ধরনের বিপত্তি সৃষ্টি করে। অতীতেও আমরা দেখেছি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সংগঠন রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ও সাময়িক লক্ষ্যাভিমুখী কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়। অথচ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, একটি ভালো গানের ভিডিও ধারণ, একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নির্মাণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে দিতে গেলেই ‘ফান্ড ক্রাইসিস’ দেখা দেয়।

মতিউর রহমান মল্লিক যে যুগে সাহিত্য-সংস্কৃতির ঝাণ্ডা হাতে ‘ইনকিলাবের অস্ত্র মোদের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ গান গাইতেন, মিউজিকবিহীন গান গেয়ে কলেজ অডিটোরিয়ামে ‘পচা ডিম’ খেয়েছেন, ডাকসুতে মিছিলের অগ্রভাগে দ্বীনের জয়গান গাইতে গিয়ে, তাহের-কাদের পরিষদের শ্লোগান দিতে গিয়ে বোমাবাজির শিকার হন সে যুগে নেতৃবৃন্দ সাহিত্য-সংস্কৃতির জন্য বাজেট বরাদ্দে হাত বাড়িয়ে দিতেন না। কারণ, তাদের ধারণা ছিলো- কী হবে এসব গান গজল দিয়ে? কী হবে কবিতার নির্মাণে? কিন্তু কবি মতিউর রহমান মল্লিকের চোখে তখন রাসূলের যুগের উদাহরণ। তিনি দেখছেন আল্লাহর নবী কত উৎসাহ নিয়ে হাসসান বিন সাবিতের কবিতা শুনছেন, আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহার দিকে কান পেতে আছেন, কিভাবে হযরত আলী স্বরচিত কবিতা পড়ে সেনাবাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করছেন, রাসূল সাহাবী কবির জন্য মসজিদে নববীতে আলাদা মিম্বার গড়ে দিয়েছেন। তাই তিনি, এত অভাব অভিযোগ, দারিদ্র্য ও হতাশার মাঝেও নতুন আলোয় বুক বেঁধে চালিয়ে গেছেন তার সংগ্রাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মতিউর রহমান মল্লিক নিজের বেতনের সমস্ত টাকা দিয়ে প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, মাত্র তিন হাজার টাকার জন্য ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে চিঠি লিখে পাঠাচ্ছেন সাইমুমের পরিচালককে।

আজ যদি প্রশ্ন করি, বিশাল জনসমুদ্রে সাইমুম, পাঞ্জেরী কিংবা আমাদের শিল্পীগণ যখন একটি কালজয়ী গান গেয়ে উঠেন তখন কি জনতা সাগরে দরিয়ার ফৌজের মতো দুর্বার আওয়াজ ওঠে না? মানুষ কি নতুন চেতনায়, নতুন প্রেরণায়, আল্লাহর ভালোবাসায় উদ্বেলিত হয় না? কবি মল্লিকের এই একটি অভিমান ছিলো, নেতৃবৃন্দ কেন রাজনৈতিক কর্মসূচির সমান্তরালে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কার্যক্রমক গুরুত্ব দেন না। আসলে তাঁর ভেতরে একটি ভীষণ জ¦ালা কাজ করতো একদিকে তার প্রিয় সংগ্রামী শিল্পী কবিরা সংগঠনে এগিয়ে আসছেন না শুধুই গানে গানে মানুষকে জাগাচ্ছেন অথচ নিজে জাগছেন না, অপর দিকে সংগঠনের দায়িত্বশীলগণ সাহিত্য সংস্কৃতির কাজকে সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করছেন না। আগামী পর্বে কবির কবিতা গল্প ও রচনা থেকে এ বিষয়ে কথা বলবো। ইনশা-আল্লাহ। [চলবে] লেখক : শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও গবেষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির