post

সাফল্যের জন্য চাই আত্মবিশ্বাস

মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত

০৪ মার্চ ২০১৭
আত্মচেতনার উজ্জীবনী শক্তির নাম আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক শক্তি। ব্যক্তিজীবনে প্রতিটি কাজের জন্য এ শক্তি প্রয়োজন। সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যার আত্মবিশ্বাস যত বেশি, জীবনের সব ক্ষেত্রে তার সফলতা তত বেশি। আত্মবিশ্বাস মানুষের এমন এক শক্তি যা কাজের ক্ষেত্রে, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে, সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির বাড়তি প্রেরণা জোগায়। এটি ব্যক্তিকে আলাদা শক্তি জোগায়, সাহস জোগায়, হীনমন্যতা দূর করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে দৃঢ় থাকতে সহায়তা করে। মনের মধ্যে জমে থাকা যেকোনো ধরনের হীনমন্যতা, সঙ্কীর্ণতা ও হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হতে পারলে সাফল্য ধরা দেবে হাতের মুঠোয়। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা এ প্রসঙ্গে বলেন, যে সকল লোক স্বীয় মনের সঙ্কীর্ণতা থেকে রক্ষা পেয়ে গেল শুধু তারাই সফলকাম। (সূরা তাগাবুন : আয়াত ১৬) আত্মবিশ্বাস হলো জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র। আত্মবিশ্বাসী না হলে জীবনে সফল হওয়া যায় না। জীবনে চলার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে। কিন্তু যারা আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান, তারা সহজে হাল ছাড়ে না। লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত চলতেই থাকে তাদের সংগ্রাম। যত বাধাই আসুক কিছুই তাদের থামিয়ে রাখতে পারে না। নিজের বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, ভাবনা-চিন্তা, জীবনবোধের প্রতি গভীর আস্থাই আত্মবিশ্বাস। সাফল্য অর্জন আর জীবনকে আনন্দময় করতে আত্মবিশ্বাসকে দৃঢ় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিনের নানা ব্যস্ততার সাথে তাল মিলিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা বা শক্তি জোগায় আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসকে সাফল্য অর্জনের হাতিয়ার বলা হয়। এই হাতিয়ার ছাড়া জীবনে সফলতা বয়ে আনা অত্যন্ত দুরূহ। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হলে জীবনে সফলতা আসবে, আলোর মুখ দেখবে, জীবন থেকে অন্ধকার দূরীভূত হবে। মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ- দৈন্য, আনন্দ-বেদনা রয়েছে। জীবনে চলার পথে দুঃখ-বেদনা আসবে, জীবনের গতিকে রুদ্ধ করবে কিন্তু এ সবের মাঝেও আত্মবিশ্বাস মানুষকে শক্তি জোগাবে। মনের মধ্যে সকল প্রকার জড়তা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, কুচিন্তা, কুপ্রবৃত্তি দমন করে আত্মবিশ্বাসী হলে তখন সে সফল হবেই। এ পৃথিবীতে যারা বড় হয়েছেন, যশ-খ্যাতি অর্জন করে সমগ্র দুনিয়ায় সুনাম-সুখ্যাতি ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। পৃথিবীতে যারা মহান, স্মরণীয়-বরণীয় তাদের প্রত্যেককেই আত্মাবিশ্বাস পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের সুউচ্চ শিখরে। পৃথিবীতে যারা শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাসী ছিলেন বলেই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন হয়েছেন। কখনো দেখা যায় নিজের ওপর নিজের বিশ্বাস যখন হারিয়ে যায় তখন একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস, আত্মশক্তির ভিত্তি হয় দুর্বল। তখন শিক্ষা মানুষকে আত্মবিশ্বাস প্রসারে সাহায্য করে। আত্মবিশ্বাস সকল বাধা-বিপত্তিকে দূর করে দিয়ে জ্ঞানের নান্দনিক পরিশীলনের সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়। সাথে যোগ করে দেয় প্রেরণা, যে প্রেরণা সাফল্যকে করায়ত্ত করতে সহায়তা করে। ব্যক্তির সকল যোগ্যতার পূর্ণ বিকাশ ঘটে আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে। ব্যক্তি অনেক বিষয়ে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তার আত্মবিশ্বাসহীন পথচলা তার সাফল্য অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় সব ঠিকঠাক থাকলেও আত্মবিশ্বাসের অভাবে সাফল্য হাতছাড়া হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলার মাঠে আত্মবিশ্বাসহীন ব্যক্তি যত ভালো খেলোয়াড়ই হোন না কেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন না। মাঝে মধ্যে দেখা যায় খুব জাঁদরেল ব্যাটসম্যানও সাধারণ একটি বলে আউট হয়ে যান। তখন ধারাভাষ্যকার বলতে থাকেন, ব্যাটসম্যান এই শটটি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেননি তাই আউট হয়ে গেছেন। আত্মবিশ্বাস একটি জাতির উন্নতির সোপান। যে জাতির মধ্যে আত্মবিশ্বাস নেই সে জাতি কখনো বড় হতে পারে না। যে জাতি স্বভাবগতভাবেই আত্মবিশ্বাসহীন সে জাতি সবসময়ই দুর্বলই থাকে, উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে না। যে জাতির স্বভাব-প্রকৃতিতে হীনমন্যতা আসন গেড়ে বসে, সে জাতি উন্নতি করবে কিভাবে আর কিভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে তার আত্মমর্যাদা। সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী তাঁর, ‘সুচিন্তা’ নামক গ্রন্থের ‘আত্মবিশ্বাস ও জাতীয় প্রতিষ্ঠা’ প্রবন্ধে উলেখ করেছেন, ‘সিংহশাবক যে ভেড়া না হইয়া সর্বদাই সিংহ হয়, সে তাহার বিশ্বাসের গুণেই। আর মেষশাবক যে, সিংহশাবক না হইয়া মেষ হয়, সেও তাহার বিশ্বাসের গুণে।’ আত্মবিশ্বাসের সাথে যদি সাহস যোগ হয় তাহলে সত্যিকার সফলতা পাওয়া যায়। হযরত আবু বকর (রা)-এর খেলাফতকালে সমগ্র আরবে ভণ্ড নবীদের উৎপাত শুরু হয়। এসময় ভণ্ড নবী মোসায়লামা আল কাজ্জাবের সাথে ইয়ামামার প্রান্তরে মুসলিম বাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের একপর্যায়ে মোসায়লামা বাহিনী ধাওয়া খেয়ে উদ্যানে ঢুকে ফটক বন্ধ করে দেয়। প্রখ্যাত সাহাবী বারা ইবনে মালিক (রা) মুহূর্তের মধ্যে গর্জে ওঠে বলেন, ‘ওহে জনমণ্ডলী! আমি বারা ইবনে মালিক, তোমরা আমাকে উদ্যানের অভ্যন্তরে তাদের মাঝে ছুড়ে মারো। লোকেরা বলল, ‘না, তা কেমন করে হয়।’ বারা বললেন- ‘আল্লাহর কসম! আমার দৃঢ় বিশ্বাস তোমরা আমাকে ভেতরে ছুড়ে মারলে আমি অবশ্যই ফটক খুলে দিতে পারব।’ অতঃপর তাকে উঁচু করে প্রাচীরের ওপর তুলে ধরা হলো। তিনি উঁকি দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই মোসায়লামা বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ফটকের মুখেই প্রচণ্ড লড়াই হলো। তিনি ফটকের দরজা খুলে দিতে সক্ষম হলেন। অপেক্ষমাণ মুসলিম সৈন্যরা মুহূর্তেই উদ্যানে প্রবেশ করে প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হলো। অভিশপ্ত মোসায়লামা নিহত ও তার বাহিনী পরাজিত হলো। বারা ইবনে মালিক (রা)-এর দেহ আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। তীর, বর্শা ও বল্লমের আশিটিরও বেশি আঘাত লাগে তাঁর শরীরে। এক মাস পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বারা ইবনে মালিক (রা)-এর সেদিনের প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আর সাহস গোটা মুসলিম বাহিনীকে ভণ্ড নবী মোসায়লামা বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করেছিল। আত্মবিশ্বাস যাদের কম তাদের সাফল্যও কম। প্রকৃত আত্মবিশ্বাসী মানুষের সাথে কম আত্মবিশ^াসী মানুষের তাইতো ব্যবধান অনেক। কম আত্মবিশ্বাসী মানুষ সবসময় নিজের নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করে, কাজের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। ফলে সে পেছনে পড়ে যায় এবং সাফল্য অর্জনের লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় মানুষের সামনে কম আত্মবিশ্বাসী লোকেরা বক্তব্য দিতে ভয় পান। নিজের মতামত প্রকাশ করতে চান না। তারা সবসময় চিন্তা করতে থাকেন যে, যদি অন্যেরা আমার সঙ্গে একমত না হয়, আমার বিরোধিতা করে, তাহলে কী হবে? যথাযথ আত্মবিশ্বাসী মানুষ যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো জায়গায় মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে গুছিয়ে নিঃসংকোচে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে। কম আত্মবিশ্বাসী মানুষ মাঝে মধ্যেই মাথা নিচু করে চলাফেরা করে। অপর দিকে আত্মবিশ্বাসী মানুষ তার আচার ব্যবহারের মাধ্যমেই নিজের আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে দেন। সব সময় তাদের মাথা উঁচু থাকে এবং তাদের দেখলেই বোঝা যায় যে, তারা অনেক আত্মবিশ্বাসী। কম আত্মবিশ্বাসী মানুষ সবসময় নিজেদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যায়। বাধা এলে কিংবা অসম্ভব মনে করলে তারা সরে দাঁড়ায়। আত্মবিশ্বাসী মানুষ যত বাধাই আসুক না কেন, যত অসম্ভবই মনে হোক না কেনÑ তারা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য সর্বপ্রথমে নিজের নেতিবাচক ও ইতিবাচক দিকগুলো জেনে নিন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কতটুকু আত্মবিশ্বাসী। এই আত্মবিশ্বাসের কারণ কী? খারাপ দিকটি কী ও কেন? সততার সাথে নিজের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। তাহলে আপনি খুঁজে পাবেন আপনার আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পথে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো। এবার নেতিবাচক দিকগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন। আর ইতিবাচক দিকগুলো আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করুন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে ওঠার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করুন। নিজেকে মন থেকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলার গুরুত্বটা বোঝানোর চেষ্টা করুন। আত্মবিশ্বাসী হতেই হবে এ প্রতিজ্ঞা করুন। অন্যকে লক্ষ্য করুন। আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে অন্যের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করা আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে ওঠার অন্যতম উপায়। জীবনটাকে একটা পরিবর্তনের সুযোগ করে দিন। সুযোগটা কাজে লাগান। একটা নতুন কিছু করুন। হতে পারে সেটি কোনো ছোট্ট একটি কাজ। হতে পারে ভালো কোনো একটা বই পড়া। যা কিছু ভালো এ ধরনের কিছু একটা করুন। এতে আপনার মনের ওপর চাপ কমবে। মনের ওপর বাড়তি চাপ রেখে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায় না। অজু করে দু’রাকাত নামাজ আদায় করুন। যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন সেই মহান রবের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন। জীবনের সকল পঙ্কিলতা দূর করার পাশাপাশি বিগত দিনের ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নতুন করে আর ভুল না করার প্রতিজ্ঞা করুন। আমাদের সবার সবসময় মনে রাখা উচিত, কাজ করলে ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে এবং সেই ভুল-ভ্রান্তি থেকেই পরবর্তী শিক্ষা নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে চলাটাই মূল লক্ষ্য। জীবনের প্রতি আগ্রহ একটা ইতিবাচক মনোভাব রাখাই হলো নিজের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার প্রথম ধাপ। প্রতিদিন আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে তার বেশির ভাগই আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না। এ কারণে সেসব পরিস্থিতি নিয়ে অযথা চিন্তা করারও কোনো মানে হয় না। তবে যে পরিস্থিতি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি বিচার করার। অনেক সময়ই হতে পারে, যেকোনো একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি যে সিদ্ধান্ত নিলেন পরে গিয়ে দেখলেন, সেই সিদ্ধান্ত হয়তো পুরোপুরি সঠিক ছিল না। সে ক্ষেত্রেও কখনোই নিজের আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। প্রত্যেক মানুষ নিজের ভুল থেকেই শেখে। আর এই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া হলো মূল উদ্দেশ্য। মনে রাখবেন, একবার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই যে জীবনে আপনি কখনো কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না অথবা সব সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যই আপনাকে অন্য কারো সাহায্য নিতে হবে এমন ধারণাও একেবারেই ভুল। কয়েকটি ছোটখাটো জিনিসের দিকে খেয়াল রাখলেই দেখবেন আপনার নিজেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। কাজ করার সময় টেনশন, হতাশা, বাধা-বিপত্তি এসব কিছু যেন আত্মবিশ্বাসকে ধাক্কা না দেয়। মনে রাখতে হবে এসব নেতিবাচক ভাবনাকে আমলে নিলেই জীবনের পথে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হবে। হারাতে হবে আত্মবিশ্বাস। মনে রাখতে হবে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। আর এই আত্মবিশ্বাস নিজের মাঝে তৈরি করার জন্য সবার আগে নিজেকে বদলাতে হবে। নিজেকে বদলাতে পারলেই বদলে যাবে আপনার চারপাশ, সাফল্য আসবে হাতের মুঠোয়। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করেই শেষ করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ কোনো জাতির ভাগ্য ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না সে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তনে সচেষ্ট হয়। (সূরা আর রা’দ : আয়াত ১১) লেখক : এমফিল গবেষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির