গবেষণা মানে একাডেমিয়াতে নতুন করে কোনো কাজ সংযুক্ত করা। গবেষণা কেন করব? এর উত্তর যিনি গবেষণা করতে আগ্রহী তিনিই ভাল বুঝবেন। আগ্রহের ফিল্ডে নতুন কোনো তত্ত্ব নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করাই গবেষণার অংশ। গবেষণার মৌলিক কিছু দিক আছে। অনেক সময় আমাদের মনে গবেষণার ইচ্ছে জাগে, কিন্তু হয়ে উঠেনা। এর মূল কারণ হচ্ছে- কোন বিষয় পছন্দ সেটি নির্ধারণ করতে না পারা। অনেক সময় টপিক পছন্দ হলেও কাজ শেষ করার মতো ধৈর্য না থাকায় আর হয়ে উঠেনা। অত্র প্রবন্ধে আমরা গবেষণা পদ্ধতি ও এর ধাপ সম্পর্কে জানব ইনশাআল্লাহ।
গবেষণা করতে হলে প্রথমে নিজেকে একটি পছন্দনীয় টপিক বাছাই করতে হবে। একটি টপিক বাছাই করার জন্য অনেক পড়তে হয়। মূল গবেষণা নিজে-নিজে হয় না; বরং গবেষকের মাধ্যমে করতে হয়। যদি ব্যক্তিগতভাবে আর্টিকেল লিখা হয় সেটা ভিন্ন। তবে থিসিস, টার্ম পেপার এসব করতে মাধ্যম প্রয়োজন হয়। থিসিসের ক্ষেত্রে সুপারভাইজার/প্রফেসরকে প্রপোজাল জমা দিতে হয়। উনার পছন্দ হলে পরবর্তীতে ঐ বিষয়ে কাজ করা যায়। প্রপোজালের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থাকা আবশ্যক।
- Title
- Abstract
- Introduction
- Background & Rationale
- Research Question (S)
- Research Methodology
- Plan of Work & Time Schedule
- Literature Review
- Conceptual & Theoretical Framework
- Findings & Discussion
- Conclusion
- Bibliography
গবেষণা করতে হলে প্রথমেই সার্চ ও ব্রাউজিংয়ের ব্যাপারটা জানতে হবে। কারণ, গবেষণা করতে হবে সার্চ দিয়ে ও একই তথ্যের ওপর ইতোপূর্বে কাজ হয়েছে কিনা সেটা দেখে। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর (আর্টিকেলের সাইটেশন সিস্টেম) দেখে আর্টিকেল ডাউনলোড করা উচিত। আর্টিকেল সার্চ দেওয়ার ও কিছু টেকনিক আছে। যেমন- আপনি and বা or (Education and Research) দিয়ে সার্চ দিলে দুইটা অথবা এর যেকোনো একটা আসবে। আর্টিকেল সার্চ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ওয়েবসাইট আছে এবং এক্ষেত্রে দুই ধরনের জার্নাল আছে।
- Open Access l Close access
নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ফিল্ড অনুযায়ী ডেটা বা আর্টিকেল পাওয়া যাবে। গুগল সার্চের মতো সার্চ করলেই হবে।
* Google Scholar * CORE * DOAJ * ERIC * SSRN * PLOS * BASE * DLC * Zlibrary * Pubmed * Liben * Nature * BioMed Central * Jstore * Hal * Pdfdrive
উপরোক্ত ওয়েবসাইটে নিজের পছন্দমতো টপিক/টাইটেল সার্চ দিলে তার উপর অনেক আর্টিকেল আসবে এবং ডাউনলোড করতে হবে। কিছু কিছু জার্নাল ডাউনলোডের সরাসরি অপশন রাখলেও অনেক জার্নালের নেই। এজন্য কয়েকটি পন্থা আছে।
- Sci-hub: https://scihub.wikicn.top/ or https://sci-hub.st/
Sci-hub-এর লিঙ্কে গিয়ে DOI (DIGITAL OBJECT IDENTIFIER) কপি করে পেস্ট করে দিলে পিডিএফ ডাউনলোড করা যাবে।
- Crossref: https://search.crossref.org/
DOI পাওয়া না গেলে Crossref এ গিয়ে টাইটেল পেস্ট করলে DOI চলে আসবে।
সিরার্চ করতে Methodology অনুসরণ করতে হয়। এর মধ্যে Qualitative এবং Quantitative পদ্ধতি পরিচিতি ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।
- Qualitative research involves collecting and analyzing non-numerical data (e.g., text, video or audio) to understand concepts, opinions or experiences.
(এই রিসার্চে মূলত ব্যাখ্যামূলক আলোচনা করা হয়)
- Quantitative research is a way to learn about a particular group of people, known as a sample population.
(এখানে গ্রাফ, চার্ট বা পরিসংখ্যাণ ভিত্তিক আলোচনা করা হয়)
কিছু এডভান্স ওয়েবসাইট/অও ঞড়ড়ষং যেগুলো গবেষণার কাজে হেল্প করতে পারে-
- futurepedia.io - Elicit
- typeset.io - wosonhj
- Anna’s Archive - ChatGPT
- Diagram. net, creatly, Canva, mindmup)
- Researchrabbitapp/Connnectedpaper
- Consensus
আর্টিকেল পাবলিশ করার ক্ষেত্রে অবশ্য দেখতে হবে জার্নালটি তাঁর মান রক্ষা করছে কিনা। কারণ, অনেক সময় predatory journal। যেখানে পাবলিশ করলে পুরো আর্টিকেল-ই বৃথা যেতে পারে। এজন্য তালিকা দেখে কিছুটা আইডিয়া নেওয়া যেতে পারে। নিম্নোক্ত লিঙ্কে সার্চ দেওয়া যেতে পারে।
- https://predatoryjournals.com/
- https://beallslist.net/
গবেষণার ক্ষেত্রে লিটারেচার রিভিউ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত একটি আর্টিকেলের আলোচনা-সমালোচনা। একটি পেপারে কোন বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে এবং আরও কোন বিষয় নিয়ে আসা যেত এবং লিখার ক্ষেত্রে কি কি ত্রুটি আছে এসব ঘিরেই এর আলোচনা। এটি বিভিন্ন রকম হতে পারে-
* Chronological
* Methodological
* Thematic
* Traditional
গবেষণা করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গার আইডিয়া নেওয়ার ক্ষেত্রে cite করতে হয়। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত তিনটি স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। অবশ্য একাডেমিয়াতে এটারও সীমারেখা আছে।
- Common Knowledge (no need to cite): Common knowledge is information that the majority of people either know or can find in a number of sources. for example— famous historical dates.
- Quoiting: Quoting means copying a passage of someone else’s words and crediting the source. To quote a source, you must ensure:
- The quoted text is enclosed in quotation marks or formatted as a block quote.
- The original author is correctly cited.
- The text is identical to the original.
- Paraphrasing: A paraphrase is a restatement of the meaning of a text or passage using other words.
আর রেফারেন্সিংয়ের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার আছে। যেগুলো দিয়ে সহজেই Bibliograph যুক্ত করা যাবে। এর মধ্যে Zotero সবচেয়ে ফ্রেন্ডলি। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। যেমন-APA, MLA, CHICAGO, VANCOUVER, HARVARD etc.
- Zotero (https://www.zotero.org/)
- Mendeley (https://www.mendeley.com/)
- EndNote (http://surl.li/ugovy)
জার্নাল সাবমিট করার জন্য নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে-
1. Journal search
1.1 https://journalfinder.phdtalks.org/index.php#
1.2 https://www.scimagojr.com/
1.3 https://mjl.clarivate.com/home
1.4 Journal finder
2. Journal selection
2.1 Scope of journal
2.2 Journal choose technique
- https://scirev.org/
- https://www.resurchify.com/
- Journal metrics
- Social media platform
3. Submitting platform
- Editorialmanager
- manuscriptcentral
- Evise
- Journal website
- Email/whatsapp
4. Submitting requirements and documents
- Main documents with table figure
- Author details
- Cover letter
- Conflict of interest
টাইটেল, অ্যাবস্ট্রাক্ট মেথডোলজি এবং কনক্লিউশন; এগুলো লেখার জন্য সাধারণত কেনো সফটওয়্যার প্রয়োজন নেই। তবে এই অংশগুলোসহ গবেষণায় প্রত্যেকটি অংশে, কিছু টুলস এবং সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।
1. Grammar checker-(Grammarly*/Ginger)
2. Paraphrasing and writing tools-(Quillbot*/Word Ai/Ref-n-Write/Pro Writing Aid/Wordtune)
3. Editing text software (Word*, OpenOffice, LaTeX*), Scrivener…)
4. Presentations (PowerPoint*, Prezi, Slidescarniva, Canva*)
5. Conceptual and Theoretical framework (Diagram. net*,creatly*,Canva)
6. Results/Findings & Discussion
- Quantative Analysis (SPSS*, Excel, Matlab, Python, STATA, R, …)
- Qualitative research software (Atlas.ti,NVivo*, Quirkos, MAXQDA…Excel*)
7. Questionnaire survey (Kobo toolbox*, Google form*)
8. Plagiarism Checker (Turnitin*, Viper, I-thenticate, Checker X)
9. Bibliography manager (Zotero*, Mendeley*, EndNote, …)
10. Some useful tools and website:
Researchgate, Googleschoolar, Scihub, Scribbr, Researchrabbit, connectedpapers, Scilit. ইত্যাদি নামগুলো লিখে গুগল সার্চ করলেই এগুলোর কি কাজ সেটা বুঝা যাবে।
অত্র প্রবন্ধে গবেষণায় হাতেখড়ি কিভাবে হবে ও আর্টিকেল সার্চ থেকে শুরু করে সাবমিট পর্যন্ত বিষয়ের ওপর কিঞ্চিৎ ধারণা দেওয়া হয়েছে।
লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মন্তব্য লিখুন