১.
থাইল্যান্ড চুলাভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট
(সিজিআই)
থাইল্যান্ডের চুলাভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট (সিজিআই) বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্কলারশিপ দিচ্ছে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সিজিআই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদনের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
বৃত্তির সংখ্যা : বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি স্কলারশিপ দেওয়া হবে।
সুযোগ-সুবিধা : সম্পূর্ণ টিউশন ফি ও ভিসা ফি। এ ছাড়া অন্যান্য শিক্ষাব্যয়ের মধ্যে রয়েছে ক্রেডিট ফি, ল্যাবরেটরি ব্যয়, রিফ্রেশার কোর্স ফি, এনরোলমেন্ট ফি, থিসিস ফি, প্রোডাকশন অব থিসিস ডকুমেন্ট।
রাউন্ড ট্রিপ বিমানের টিকিট, বাসস্থানের সুবিধা, প্রথম বন্দোবস্ত (ফার্স্ট সেটেলমেন্ট) ভাতা, স্থানান্তর ভাতা, মাসিক স্টাইপেন্ড, বইপত্র কেনার জন্য ভাতা ও স্বাস্থ্যবিমা।
আবেদনের যোগ্যতা : প্রার্থীকে বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে রসায়ন, জীববিজ্ঞান, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মলিকিউলার বায়োলজি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। মেডিক্যাল সায়েন্স শাখার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে মেডিসিন, মেডিসিন টেকনোলজি ও ফার্মেসি শাখায় ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস বিষয়ে স্নাতক হতে হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রার্থীদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ে জিপিসি কমপক্ষে ২.৭৫ থাকতে হবে। প্রার্থীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি রিসার্চে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে, বিশেষ করে ভাষার দক্ষতার দুটি স্বীকৃত পরীক্ষার মধ্যে একটিতে, অর্থাৎ টোয়েফল বা আইইএলটিএসে। প্রার্থীকে অবশ্যই তাঁর উদ্দেশ্যের বিষয়ে একটি বিবৃতি লিখতে হবে এবং সেখানে অধ্যয়নে তাঁদের আগ্রহের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। আবেদন করার সময় প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে।
যেসব বিষয়ে পড়া যাবে : অ্যাপ্লাইড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ। এনভায়রনমেন্টাল টক্সিকোলজি এবং
কেমিক্যাল সায়েন্সেস।
স্কলারশিপের সময়কাল : দুই বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবে ৬ সপ্তাহের রিফ্রেশার কোর্স।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : সব অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, তিনটি প্রশংসাপত্র, অধ্যয়নের আগ্রহ ব্যাখ্যা করে বিবৃতি, মেডিক্যাল রিপোর্ট, অন্যান্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সনদ।
আবেদনের প্রক্রিয়া : প্রার্থীকে চুলাভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান করা ফাইল ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। প্রার্থীদের এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে হবে।
আবেদন ফরম : সিজিআই স্কলারশিপের আবেদন ফরম এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট এই লিংক (https://www.cgi.ac.th/admissions/cgi-af-scholorship/) থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এই ওয়েবসাইটে (https://www.shed.gov.bd/site/view/scholarship) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। Source: The daily campus
২.
পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। “পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম” এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন শুরু হবে সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ এবং আবেদনের শেষ হবে অক্টোবর ২০২৩।
সুযোগ-সুবিধা : টিউশন ফি মওকুফ, শিক্ষার্থীরা বছরে হাতখরচ বাবদ ১৮ হাজার ৫০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ২১ লক্ষ টাকা) পাবেন। ৩ হাজার ২৫০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা) গবেষণা খরচ প্রদান করে থাকে। কন্ট্রিবিউশন ফি ৫ হাজার ৭৫০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত দেওয়া হয়ে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : পাসপোর্টের কপি, সার্টিফিকেট, রেকমেন্ডেশন লেটার, ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট, রিসার্চ প্রপোজাল, সুপারভাইজার ফরম ও স্টেটমেন্ট অব পারপাস।
যেসব বিষয় অধ্যয়ন করা যাবে : ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যানিটিজ ও আর্টস বিজনেস, আইন, ন্যাচারাল সায়েন্স, হেলথ সায়েন্স, জেনারেল সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্স।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যাবে : ট্রিনিটি কলেজ, আটলান্টিক টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি, ডুনডাক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ম্যারি ইমাকুলেট কলেজ, ডাবলিন ডেন্টাল হসপিটাল, কোলাইস্ট মুইরে মারিনো, মাইনথ ইউনিভার্সিটি, মুনস্টার টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, ন্যাশনাল কলেজ অব আয়ারল্যান্ড, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আয়ারল্যান্ড, আরসিএসআই ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স, রয়েল আইরিশ অ্যাকাডেমি, রয়েল আইরিশ অ্যাকাডেমি অব মিউজিক, সাউথ ইস্ট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব দ্য শেনন ইউনিভার্সিটি অব কর্ক, ইউনিভার্সিটি অব লিমার্ক ও ডুন লাওহের ইনস্টিটিউট অব আর্ট ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি।
আবেদনের প্রক্রিয়া : অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীকে প্রথমেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ((https://research.ie/funding/goipg/) একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে। সব ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়িত করে আপলোড করতে হবে। সাবমিট করা কাগজপত্রের ভাষা ইংরেজি অথবা আইরিশ হতে হবে।
৩.
সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস
(এসআই স্কলারশিপ)
উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্র হিসেবে সুইডেন একটি ভালো গন্তব্য। পূর্বে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেনে উচ্চশিক্ষা টিউশন ফি ফ্রি থাকলেও ২০১১ সাল থেকে বিদেশি (নন-ইইউ) শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেন সরকার টিউশন ফি আরোপ করেছে।
সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস বর্তমানে সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস (SISGP) নামে পরিচিত। মূলত সুইডেনে ১-২ বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে। এটি একটি ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ তবে যদি প্রথম বছরে রেজাল্ট ভালো না হয়, তবে দ্বিতীয় বছরে আর বৃত্তি দেওয়া হয় না।
স্কলারশিপের নাম
সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস অথবা সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস।
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
এই স্কলারশিপের আওতায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় আর কোর্সগুলো সমন্ধে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.universityadmissions.se/intl/start
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ; সুইডেন সরকার।
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ : স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেন- ১. সম্পূর্ণ টিউশন ফি, ২, মাসিক লিভিং এক্সপেনস, ৩. যাতায়াত বিমান ভাড়া, ৪. স্বাস্থ্যবিমা, ৫. এককালীন ভ্রমণভাতা, ৬. SI Network for the Future Global Leaders (NFGL) নামক সংগঠনের ফ্রি মেম্বারশিপ, ৭. স্কলারশিপ পিরিয়ড শেষে ফ্রি মেম্বারশিপ সুবিধা মিলবে SI Alumni Network এর সাথে যুক্ত হওয়ার যা পেশাগত ক্যারিয়ারে অনেক সুবিধা প্রদান করবে।
আবেদনের যোগ্যতা
স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নি¤েœাক্ত যোগ্যতা:
১. কমপক্ষে ২ বছরের বা ৩০০০ ঘণ্টা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কর্ম-অভিজ্ঞতা শুধু চাকরি নয়, বরং বিভিন্ন লিডারশিপ প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে ইন্টার্নশিপ, সোশ্যাল ওয়ার্কও এই ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে।
২. IELTS এ থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়ে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার IELTS Score প্রয়োজন পড়বে। সাধারণত IELTS score 6.0 চাওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে IELTS ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে Medium of Instruction (English) সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদন করতে হবে দুইটি ধাপে। প্রথম ধাপে আবেদনের সময় ডিসেম্বর। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করতে হবে ফেব্রুয়ারিতে। তারপর যারা বৃত্তি পাবেন তাদের নাম প্রকাশ করা হবে এপ্রিলে (ইমেইল করা হবে)।
হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন- https://si.se/en/apply/ scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/
যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
সারা বিশ্বের ৩৪ টি দেশের মোট ৩০০ জনকে এই স্কলারশিপে দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই তালিকায় বাংলাদেশও আছে তাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন।
আবেদন প্রক্রিয়া
সুইডেনে ভর্তিপ্রক্রিয়া কেবল একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সার্ভিসের (www.university admissions.se) মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। এটা অত্যন্ত সহজ ও ঝামেলাবিহীন। এই সাইটে একবার অ্যাকাউন্ট করলেই যেকোনো বিষয়ে, যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে।
একটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার যে- Swedish University Admission authority (www.universityadmissions.se) এবং SI Scholarship authority দুইটি আলাদা প্রতিষ্ঠান।
আগ্রহী প্রার্থীকে প্রথমেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য। আপনি প্রথম স্টেপে ভর্তি নিশ্চিত করবেন। ভর্তি আবেদন সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় স্টেপে আবেদন করতে হবে স্কলারশিপ এর জন্য। স্কলারশিপ আবেদনের জন্য ভিজিট করুন- https://si.se/en/apply/ scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/#how-to-apply
এরপর সুইডিশ কাউন্সিল ফর হাইয়ার এডুকেশন তাদের নিরীক্ষা চালিয়ে আপনাকে ফলাফল জানিয়ে দেবে। আপনি সর্বোচ্চ ৪টি বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন ফি ৯০০ সুইডিশ ক্রোনা।
স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে:
১. মোটিভেশন লেটার
২. অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট।
৩. ইউরোপিয়ান ফরম্যাটে CV। যেটা বলা হয় ইউরোপাস (Europass); এই ফরম্যাটে সিভি তৈরির জন্য অনুসরণ করুন এই লিংক: https://europass.cedefop. europa.eu/en/documents/curriculum-vitae
৪. দুটি রেফারেন্স লেটার। অন্তত ১টি তে আপনার কাজের বা চাকরির বিবরণ থাকতে হবে। অবশ্যই SISGP ফরমে রেফারেন্স নিতে হবে। ফরম অফিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে
৫. কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট।
৬. পাসপোর্টের স্ক্যান কপি
৭. IELTS এর সনদ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন
https://www.universityadmissions.se/en/All-you-need-to-know1/Applying-for-studies/Application-process/Creating-a-user-account/
স্কলারশিপের আবেদন
https://si.se/en/apply/scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/#how-to-apply
তথ্যসুত্র : Studz spice
Source: The daily Campus
- ছাত্র সংবাদ ডেস্ক
আপনার মন্তব্য লিখুন