দেশপ্রেম মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস। বিশেষত মুসলমানদের রক্তের শোণিতধারায় দেশপ্রেমের শিহরণ থাকা আবশ্যক। কারণ রাসূল সা. ছিলেন দেশপ্রেমিকের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত ও আদর্শ। দেশের প্রতি মানবমনের এই স্বভাবজাত অনুরাগকে ইসলাম সমর্থন করে। কিন্তু এই দেশপ্রেম যদি সীমা অতিক্রম করে আত্ম-অহমিকা কিংবা আত্মকেন্দ্রিকতার জন্ম দেয়, অথবা যদি মানুষকে অন্ধত্ব ও উগ্রতার দিকে নিয়ে যায় এবং আল্লাহর সৃষ্টি অন্য কোনো দেশ বা ভূখ-ের বিরুদ্ধে অন্যায় বিদ্বেষের জন্ম দেয়, তাহলে ইসলাম কখনোই তা সমর্থন করে না। ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন- মাতা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি এ তিনটি পরম শ্রদ্ধার বস্তু। আর মাতৃভূমি তথা জন্মস্থানের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বা ভালোবাসা, গভীর অনুভূতি ও মমত্ববোধকে দেশপ্রেম বলে।
হজরত ইব্রাহিম (আ)-এর জন্মভূমি ফিলিস্তিনের খলিল জনপদে। আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালনে তিনি মক্কা নগরীতে মাঝে মাঝে অবস্থান করতেন। কাজ শেষে তিনি নিজ দেশে ফিরে আসতেন। কাবাগৃহ পুনর্নির্মাণ করা, ইসমাইল (আ)-এর কুরবানি, মক্কাকেন্দ্রিক দাওয়াত প্রচারের জন্য আল্লাহর হুকুমে তিনি সপরিবারে যখন মক্কা নগরীতে বসবাস করতেন তখন তার চিন্তাচেতনা ও দোয়া প্রার্থনায় এই জনপদের প্রতি গভীর আগ্রহ, প্রেম ও ভালোবাসা ব্যক্ত হয়েছে। কুরআনের সূরা বাকারায় তার এমন একটি দোয়ার কথা উল্লেখ আছে- وَ اِذْ قَالَ اِبْرٰہٖمُ رَبِّ اجْعَلْ هٰذَا بَلَدًا اٰمِنًا وَّ ارْزُقْ اَہْلَہٗ مِنَ الثَّمَرٰتِ مَنْ اٰمَنَ مِنْهُمْ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ قَالَ وَ مَنْ كَفَرَ فَاُمَتِّعُہٗ قَلِیْلًا ثُمَّ اَضْطَرُّہٗۤ اِلٰی عَذَابِ النَّارِ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ ‘আর যখন ইবরাহীম বললেন, হে আমার রব! এ স্থানকে আপনি নিরাপত্তাময় শহরে পরিণত করুন এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাদেরকে জীবিকার জন্য ফল-শস্য প্রদান করুন। আল্লাহ বলেন, যারা অবিশ্বাস করে তাদেরকে আমি অল্প দিন ভোগ করতে দেবো। পরে তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব, এটি নিকৃষ্টতম গন্তব্যস্থান!’ (সূরা বাকারা : ১২৬) যখন রাসূল সা. অত্যাচারী কাফেরদের কারণে মক্কা ছেড়ে আসছিলেন, তখন মক্কার দিকে ফিরে ফিরে তাকিয়ে ছিলেন আর বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি তোমার এখান থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমি খুব ভালো করেই জানি, তুমি আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সম্মানিত। তোমার লোকেরা আমাকে যদি তোমার কাছ থেকে বের করে না দিতো, তাহলে আমি কখনো তোমার থেকে বিদায় নিতাম না।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা : ২৬৩৫)
তাফসিরে কুরতুবিতে বর্ণনা করা হয়েছে, যখন রাসূলুল্লাহ সা. নিজের জন্মভূমি মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করছিলেন, তখন তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠেছিল। দেশের জন্য, জন্মভূমির জন্য রাসূল সা.-এর মায়া ও ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। পরবর্তীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় হাবিবের মাধ্যমে মক্কাকে মুশরিকদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে, স্বাধীনতা দিয়ে ধন্য করেছেন। মক্কা থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে রাসূলে কারীম সা. বলেছিলেন, ‘ভূখ- হিসেবে তুমি কতই না উত্তম, আমার কাছে তুমি কতই না প্রিয়। যদি আমার স্বজাতি আমাকে বের করে না দিতো তবে কিছুতেই আমি অন্যত্র বসবাস করতাম না।’ (জামে তিরমিজি : ৩৯২৬) পরবর্তীতে যখন তিনি মদীনা মুনাওয়ারাকে স্থায়ী আবাসভূমি হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে মদীনার প্রতি তার হৃদয়ের অনুরাগ প্রকাশ করতেন। আনাস রা. বলেন, নবী করীম সা. যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, দূর থেকে মদীনার জনপদ নজরে আসতেই তিনি তাঁর উটনীর গতি বাড়িয়ে দিতেন, অথবা কোনো চতুষ্পদ জন্তুর উপর থাকলে তাকে নাড়াতে থাকতেন। বস্তুত মদীনার প্রতি ভালোবাসার দরুনই তিনি এমনটি করতেন। (সহীহ বুখারী : ১৮০২)
আরেক হাদীসে হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি খেদমতের নিয়তে রাসূলের সাথে খায়বার অভিযানে গেলাম। অতঃপর যখন অভিযান শেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরে এলেন, উহুদ পাহাড় তাঁর দৃষ্টিগোচর হলো তিনি বললেন, এই পাহাড় আমাদেরকে ভালোবাসে, আমরাও একে ভালোবাসি। (সহীহ বুখারী : ২৮৮৯) রাসূলুল্লাহ সা. নিজে স্বদেশকে ভালোবেসে আমাদের জন্য দেশপ্রেমের অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর স্বদেশ মক্কাকে ভালোবাসতেন, মক্কার জনগণকে ভালোবাসতেন। তাদের আল্লাহর পথে আনার জন্য তিনি অপরিসীম অত্যাচার সহ্য করেছেন। তার পরও কখনো স্বদেশবাসীর অকল্যাণ কামনা করেননি। তায়েফে নির্যাতিত হওয়ার পরও কোনো বদদোয়া করেননি। হিজরতের পর মদীনায় আবু বকর রা. ও বেলাল রা. জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের মনে-প্রাণে প্রিয় স্বদেশ মক্কার স্মৃতিচিহ্ন জেগে উঠেছিল। তারা জন্মভূমি মক্কার কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হয়ে কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন।
এ অবস্থায় রাসূল সা. সাহাবিদের মনের এ দুরাবস্থা দেখে প্রাণভরে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমরা মক্কাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি তার চেয়েও বেশি মদীনার ভালোবাসা আমাদের অন্তরে দান করুন।’ (সহীহ বুখারী) দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারা গৌরবের। রাসূল সা. এ শিক্ষাই দিয়েছেন। অষ্টম হিজরি মোতাবেক ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রাসূল সা. যখন বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রবেশ করলেন, তখন তাঁর স্বগোত্রীয় লোকেরা হেরেমে অপরাধী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো। কিন্তু রাসূল সা. এমনি মুহূর্তে স্বীয় দেশবাসীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন, ইতিহাসে তিনি অতুলনীয় দেশপ্রেম, উদারতা ও মহানুভবতার নজির স্থাপন করেন।
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম জাওযি (রহ.) তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ ‘যাদুল মাআদে’ উল্লেখ করেছেন, আল্লাহর নবী সা. একটি উষ্ট্রীর উপর আরোহিত ছিলেন, তাঁর চেহারা ছিল নিম্নগামী (অর্থাৎ আল্লাহর দরবারে বিনয়ের সঙ্গে তিনি মক্কায় প্রবেশ করেন)। প্রথম তিনি উম্মে হানির ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানে আট রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। এই নামাজকে বলা হয় বিজয়ের নামাজ। এরপর তিনি হারাম শরিফে এসে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘হে মক্কার কাফের সম্প্রদায়! তেরো বছর ধরে আমার ওপর, আমার পরিবারের ওপর, আমার সাহাবাদের ওপর নির্যাতনের যে স্টিম রোলার চালিয়েছ, এর প্রতিবদলায় আজ তোমাদের কী মনে হয়, তোমাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব? তারা বলল- হ্যাঁ, আমরা কঠিন অপরাধী। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, আপনি আমাদের উদার ভাই, উদার সন্তান, আমাদের সঙ্গে উদারতা, মহানুভবতা প্রদর্শন করবেন। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘হ্যাঁ, আমি আজ তোমাদের সবার জন্য ইউসুফ আলাইহিস সালামের মতো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলাম। যাও তোমাদের থেকে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে না।’ (সুনানে বাইহাকি ৯/১১৮)
রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর কথা অনুযায়ী কারো ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি, কোনো অপরাধীর বিচার করেননি, বরং সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। ইচ্ছা করলে তিনি অপরাধীদের সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সবাইকে ক্ষমা করে মুক্ত-স্বাধীন করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, যাবতীয় ক্ষমতার মালিক কেবল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হজরত রাসূল সা. যখনই আহ্বান করেছেন তখনই সাহাবায়ে কেরাম রা. সর্বতোভাবে এ ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তারা জানতেন, নিজেদের বিশ্বাস, আদর্শ ও দ্বীন-ধর্মমত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বাধীন ভূখ-ের প্রয়োজন। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যেমন আন্তরিক ছিলেন, তেমনি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন দেশপ্রেম ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায়।
দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সীমান্তরক্ষীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। দেশের সীমান্তরক্ষী অতন্দ্র প্রহরীদের সম্পর্কে রাসূল সা. ঘোষণা দিয়েছেন, ‘একদিন ও একরাত সীমান্ত পাহারা ক্রমাগত এক মাসের সিয়াম সাধনা ও সারারাত নফল ইবাদতে কাটানো অপেক্ষা উত্তম।’ (মুসলিম) দেশপ্রেম জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। রাসূল সা. বলেছেন, ‘দুটি চোখ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। একটি চোখ, যে চোখ আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করে; আর একটি চোখ, যা সীমান্ত পাহারায় বিনিদ্র রজনী যাপন করে।’ (তিরমিজি)
নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসার বিষয়টি যথাস্থানে ঠিকই আছে। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভৌগোলিক পরিচয়কে ইসলাম সম্মান-মর্যাদার মানদ- গণ্য করেনি। ইসলামের কাছে মর্যাদার মানদ- হচ্ছে তাকওয়া ও খোদাভীতি। এই তাকওয়ার গুণে যে ভূষিত হবে সেই সম্মান-মর্যাদার অধিক উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। চাই সে কোনো অখ্যাত দেশের বাসিন্দাই হোক না কেন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেন- اَیُّهَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقْنٰکُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّ اُنْثٰی وَ جَعَلْنٰکُمْ شُعُوْبًا وَّ قَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا ؕ اِنَّ اَکْرَمَکُمْ عِنْدَ اللّٰهِ اَتْقٰکُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ হে মানবসমাজ! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন কাওম ও গোত্র বানিয়ে দিয়েছি, যাতে তোমরা একে অপরকে (ঐসব নামে) চিনতে পার। আসলে আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে তারাই অধিক সম্মানিত, যারা তোমাদের মধ্যে বেশি মুত্তাকি। আল্লাহ সব কিছু জানেন, সব কিছুর খবর রাখেন। (সূরা হুজুরাত : ১৩) রাসূলে কারীম সা. বিদায় হজ্বের ভাষণে বলেন, ‘হে লোকসকল! জেনে রেখো তোমাদের প্রতিপালক একজন, তোমাদের পিতা একজন। জেনে রেখো, অনারবের উপর আরবের, আরবের উপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সাদার উপর কালোর, কালোর উপর সাদার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তবে তাকওয়ার ভিত্তিতে একজন আরেকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে পারবে।’
(মুসনাদে আহমদ, ৫/৪১১; বাইহাকির সূত্রে দুররে মানসুর ৬/১২২) রাসূলে কারীম সা. আরও ইরশাদ করেন, ‘আমার নিকটবর্তী লোক তো তারাই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তারা যেমনই হোক, যেখানেই থাকুক।’ (মুসনাদে আহমদ ৫/২৩৫) হযরত আবুদ দারদা রা.-এর এক চিঠির উত্তরে সালমান রা. লিখেছিলেন, ‘কোনো ভূখ- কাউকে পবিত্র করে না। মানুষকে পবিত্র করে তার আমল।’ (মুয়াত্তা মালিক, পৃষ্ঠা : ৩২২) রাসূল সা. মক্কা বিজয়ের দিন হারামে এসে যখন নামাজের সময় হলো তখন আজানের জন্য মুয়াযযিন নির্বাচন করলেন; কাকে? বেলাল রা.কে। তাঁকে আদেশ করলেন কাবার উপর উঠে আজান দেয়ার। বেলাল রা. হচ্ছেন একজন হাবশি, কালো বর্ণের মানুষ এবং একজন আজাদকৃত দাস। বিশ্বাস ও কর্মহীন আভিজাত্যের অহঙ্কার চুরমার করে সকল বর্ণবাদী জাহেলি চেতনা নস্যাৎ করে বিজয়ের দিনে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাম্য ও মানবতা। জন্মগত আভিজাত্যের মধ্যে নয়, চেহারা ও চামড়ার সৌন্দর্যের মধ্যেও নয়, কর্ম ও আদর্শের মাঝেই যে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব- এ মহাসত্য তিনি আজ বিজয়ের দিনে প্রমাণ করেছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একজন শাসকের দেশপ্রেম থাকা অতীব জরুরি। আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে বলেছেন- اَلَّذِیْنَ اِنْ مَّكَنّٰهُمْ فِی الْاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ وَ اَمَرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَ نَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ ؕ وَ لِلّٰهِ عَاقِبَۃُ الْاُمُوْرِ ‘আমি এদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলে এরা সালাত কায়েম করবে, জাকাত দিবে এবং সৎকার্যের নির্দেশ দিবে ও অসৎকার্য নিষেধ করবে; আর সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর ইখতিয়ারে।’ (সূরা হজ্ব : ৪১) উপরিউক্ত আয়াতে একজন দেশপ্রেমিক শাসকের জন্য প্রধান চারটি কাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সালাত কায়েম, জাকাত আদায়, সত্য ও ন্যায়ের নির্দেশ এবং অসত্য ও অন্যায় থেকে নিজে বিরত থাকা এবং অন্যকে বিরত রাখা। দেশের কোন শাসক যদি আল্লাহর নির্ধারিত এই চার কর্মসূচি আঞ্জাম দিতে না পারেন তাকে সত্যিকার দেশপ্রেমিক শাসক বলা যাবে না। লেখক : প্রভাষক সিটি মডেল কলেজ, ঢাকা
আপনার মন্তব্য লিখুন