post

রক্তাক্ত গাজা বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্মুক্ত কারাগার

ড. আহসান হাবীব ইমরোজ

০২ নভেম্বর ২০২৩

গাজার ভয়ঙ্কর অবস্থা: 

গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শিশু। যুদ্ধের জন্য এটির অর্থ হচ্ছে- এখানে ব্যাপক শিশু-মৃত্যু।

গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর যানবাহনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি মেয়ে ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।

মেয়েটির মা ফিদা আল-আরাজ গত সপ্তাহে একটি বার্তা পেয়েছিলেন। যেটি তাকে তার বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছিল। কারণ এলাকাটিতে বোমা হামলা হতে চলেছে। তিনি প্রথমে তার এ সন্তানদের কথাই ভেবেছিলেন। 

তার আগের দিন, একটি ইসরাইলি বিমান হামলা তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আঘাত করেছিল, তার স্ত্রী, মা এবং সন্তানদের হত্যা করেছিল। এই বাচ্চারা বয়সে আল-আরাজের বাচ্চাদের কাছাকাছি ছিল। তারা বন্ধু ছিল।

আমার মেয়ে আমাকে বলেছিল, ‘আপনি কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন?’ আল-আরাজ স্মরণ করেন। ‘গতকাল, আমরা আমাদের কাজিনদের জন্য কাঁদছিলাম। আপনি কি চান যে আজ আমাদের মৃতদেহের জন্য লোকেরা কাঁদুক?’ তাই আমাকে চলে যেতে হলো।

পরিবারটি গাজা শহরে তাদের বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ গাজার রাফাহতে একটি দিনব্যাপী যাত্রা শুরু করেছিল। আল-আরাজ- ১৩, ১২, ১০, ৮ এবং ২ বছর বয়সী পাঁচ সন্তানের মা।

এভাবেই চলছে গাজার নিত্যকার মা-শিশু-সবার জীবন। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। প্রায় ২,৭০০ লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হয়তো তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আল-শিফা হাসপাতাল পুরোপুরি সেবা-কার্যক্রমের বাইরে এবং অবিরাম ইসরাইলি আক্রমণের কারণে রোগীদেরও কোনো চিকিৎসা দিতে পারছে না।’

‘আমাদের নার্সারিতে মৃত্যু হয়েছে যখন লাইফ সাপোর্ট মেশিনগুলো সেকশনের ভিতরে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে যার মধ্যে আরও ৩৭ জন শিশু রয়েছে যারা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকতে পারে,’ আল-কুদরা বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে। কারণ মেডিক্যাল টিম বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং জ্বালানির অভাবে তাদের অস্ত্রোপচার করতে পারেনি।

গাজার পরিচয় : গাজা, (গাজা আরবিতে غَزَّةَ বা Ġazzah বা গাজ্জা) ভূমধ্যসাগর বরাবর ১৪০ বর্গমাইল (৩৬৩ বর্গ কিলোমিটার) এলাকা নিয়ে অবস্থিত। এর দক্ষিণ-পশ্চিমে মিসর এবং পূর্ব ও উত্তরে ইসরাইল রয়েছে। সহজভাবে গাজা দুটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছোট অংশ (অন্যটি হচ্ছে পশ্চিমতীর)।

গাজার সাথে বাংলাদেশের অদ্ভুত মিল আছে। যেমন বাংলাদেশের আড়াই দিক ঘিরে আছে ভারত, সামান্য কিছুটা মিয়ানমার আর দক্ষিণে সাগর। গাজার অবস্থাও তাই। তবে গাজা (Ġazzah) আয়তনে আমাদের বর্তমান ঢাকা মহানগরীর কাছাকাছি (Dhaka=Dacca, উচ্চারণটাও কাছাকাছি) ৩০৬ বর্গকিলোমিটার।

গাজার সরকারি ভাষা আরবি। জাতিগোষ্ঠী ফিলিস্তিনি আরব। ধর্ম ৯৯% সুন্নি ইসলাম, <১% খ্রিস্টধর্ম। জনসংখ্যা আনুমানিক ২,৩৭৫,২৫৯ (২০২২)। জন-ঘনত্ব ৬,৫০৭/বর্গ কিলোমিটার (১৬,৮৫৩.১/বর্গ মাইল) গাজার জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি (হংকংয়ের সাথে তুলনীয়)। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের ১৩৮ সদস্য দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।

গাজা সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের কেন্দ্র : গাজার ইতিহাস প্রায় ৪,০০০ বছরে বিস্তৃত। গাজা বিভিন্ন রাজবংশ, সাম্রাজ্য দ্বারা শাসিত হয়েছে আবার অনেকের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং পুনরুদ্ধার হয়েছিল। এটি ফিলিস্তিনের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গাজা প্রায় ৩৫০ বছর ধরে প্রাচীন মিসরীয়দের নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। গাজা ৭৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আসিরিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট শহরটি অবরোধ ও দখল করেন। তার আক্রমণের সময় বেশির ভাগ বাসিন্দা নিহত হয়। অতঃপর শহরটি হেলেনিস্টিক শিক্ষা ও দর্শনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং আরব বেদুইনদের দ্বারা পুনর্বাসিত হয়। 

ইসলামের এক প্রাণকেন্দ্র : ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি আমর ইবনে আল-আস গাজা জয় করেন। সে সময় অধিকাংশ গাজাবাসী প্রাথমিক মুসলিম শাসনামলেই ইসলাম গ্রহণ করে। তারপর শহরটি সমৃদ্ধির শীর্ষে আরোহণ করে। ১১০০ সালে ক্রুসেডাররা ফাতেমিদের কাছ থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়, কিন্তু সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী তাদের বিতাড়িত করেন। ১৩ শতকের শেষের দিকে গাজা মামলুকের হাতে ছিল এবং সিনাই উপদ্বীপ থেকে সিজারিয়া পর্যন্ত বিস্তৃৃত একটি প্রদেশের রাজধানী হয়ে ওঠে। এটি ১৬ শতকে অটোমান-নিযুক্ত রিদওয়ান রাজবংশের অধীনে একটি স্বর্ণযুগের সাক্ষী ছিল।

ষড়যন্ত্রের সূচনা : ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনী শহরটি দখল করে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল সৃষ্টির পর মিসর প্রায় দুই দশক ধরে গাজা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনিদের নির্বাসনের ফলে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ১৯৬৭ সালে আরবদের বিরুদ্ধে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের বিজয়ের পর ইসরাইল গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিমতীরের নিয়ন্ত্রণ কব্জা করে নেয়। পরবর্তী ৩৮ বছর ধরে, সে গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ২১টি ইহুদি বসতি নির্মাণ করে। ২০০৫ সালে, আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে, ইসরাইল গাজাকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে দিতে বাধ্য হয়।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘উন্মুক্ত কারাগার’ : এটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্মুক্ত কারাগার বলা হয়। জাতিসঙ্ঘ ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেডক্রস এবং অনেক মানবাধিকার সংস্থা ইসরাইলের এ অবরোধকে (পানি, বিদ্যুৎ এবং ওষুধের ঘাটতি সৃষ্টি করে) অব্যাহত সামরিক দখল হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। গাজায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিনিরা, যেখানে আটটি শরণার্থী শিবির রয়েছে, তারা অধিকাংশই শরণার্থীদের বংশধর যারা ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পরে ইসরাইলের অধিকৃত এলাকা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল। গাজার বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আনুমানিক ৩.৪০% (২০২৩) বিশ্বে অবস্থান ৩৯তম। ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, গাজার বেকারত্বের হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ, যেখানে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৪৬% এবং যুব বেকারত্বের হার ৭০%।

গাজায় বসবাসরত অর্ধেক ফিলিস্তিনিদের বয়স ১৯ বছরের কম, কিন্তু তাদের আর্থসামাজিক বৃদ্ধি এবং বহির্বিশ্বে সীমিত অ্যাক্সেসের সম্ভাবনা নেই।

জাতিসঙ্ঘ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অনুরোধ সত্ত্বেও, ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইল গাজার উপর স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র অবরোধ বজায় রেখেছে যা ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষদের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে।

রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি এ অবরোধকে বেআইনি বলে মনে করে এবং বলে যে এটি জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন। 

ওগো প্রাণের ফিলিস্তিন : তবু প্রতিরোধ চলবেই 

‘খবরদার! দখলদারের কলজে চিবিয়ে খাব...’ মাহমুদ দারবিশ : ‘প্রতিরোধ কবি’

‘লিখে রাখুন।

আমি একজন আরব।

আপনিতো আমার বাপ-পিতামহের আঙুর ক্ষেত দখল করেছেন,

জমিও কেড়েছেন যা চাষ করতাম।

আমি আর আমার ছেলেরা মিলে,

আমাদের জন্য, আমার নাতিপুতিদের জন্য 

কিচ্ছুটি ফেলে রাখেননি পাথর ছাড়া।

আপনাদের সরকার সেটাও কেড়ে নেবে,

এখনতো এসবই বলছেন, তাই না?

তো এখন!

এক নম্বর পাতার উপর লিখুন দেখি:

আমি কোন মানুষকে ঘেন্না করি না,

আমি কারো বিষয়সম্পত্তিতে নাক গলাইনি।

কিন্তু তবুও, পেটের মধ্যে ক্ষিদে চাগার দিয়ে উঠলে 

তখন দখলদারের কলজে চিবিয়ে খাব।

খবরদার, সাবধান করে দিচ্ছি--

আমার ক্ষিদে আর রাগ থেকে

দূরে থাকুন!

মাহমুদ দারবিশ একজন ‘প্রতিরোধ কবি’ হিসেবে বিবেচিত, ‘পরিচয় পত্র’ কবিতায় উপরিউক্ত পঙক্তিগুলো লিখেছেন। তার জন্ম ১৯৪২ সালে ফিলিস্তিনের তিনটি প্রদেশের একটি গ্যালিলির আল-বিরওয়া গ্রামে। বয়স যখন মাত্র ৬, তখন সে গ্রামটি ইসরাইলি হানাদাররা দখল করেছিল এবং পরে সেনাবাহিনী কর্তৃক ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

যেহেতু তারা ইসরাইলি সরকারি আদমশুমারিতে ভুক্ত হননি। তাই তার পরিবারকে ‘অভ্যন্তরীণ শরণার্থী’ হিসাবে বিবেচনা করা হতো। দারবিশ বহু বছর বৈরুত ও প্যারিসে নির্বাসনে ছিলেন। তিনি ৩০টিরও বেশি কবিতার বই এবং গদ্যের আটটি বইয়ের লেখক।

১৯৬০ সালে নিজ গ্রামে ভ্রমণ করার অপরাধে কারাবরণ করেছিলেন। যখন তাঁর ‘পরিচয়পত্র’ কবিতাটি প্রতিবাদী গানে রূপান্তরিত হয়েছিল তখন তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। তারই প্রণোদনায় আধুনিক আরবি সাহিত্যে ‘প্রতিরোধ কাব্য’ নামক ধারাটি গড়ে উঠেছে। 

১৯৯৭ সালে সিমন বিঁত নামক এক ফরাসি চলচ্চিত্রকার গ্যালিলির আল-বিরওয়া গ্রামে গিয়েছিল পৃথিবীখ্যাত কবি মাহমুদ দারবিশের শৈশবের স্মৃতিমাখা এলাকা ডিজিটাল ফরম্যাটে ধরে রাখতে। 

কিন্তু কী দুর্ভাগ্য! দেখলেন তা বুলডোজার দিয়ে মিটিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তা খাঁখাঁ শূন্যতা, শুধু জঞ্জাল আর গোরস্থান ছাড়া কিছু নেই। 

২০০১ সালে এমনকি কবরগুলো খুঁড়ে কঙ্কালগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

২০০৮ সালে মৃত্যুর আগে কবি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘যতদিন দেহে প্রাণ আছে কেউ আমার হৃদয়ের ফিলিস্তিনে একটু আঁচড়ও কাটতে পারবে না।’ তার কবিতার প্রতিবাদের প্লাবন আজ সমগ্র পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়ছে। 

গাজা : হাতির মোকাবেলায় ছোট্ট আবাবিল 

কয়েকদিন যাবৎ ব্যাপকভাবে ছড়াছড়ি হচ্ছে, ইহুদিদের বিপুল বিত্ত ও মেধার আকাশচুম্বী চিত্র। মনে হয় ওরা হাতি আমরা ছোট্ট পাখি। 

কিন্তু ইতিহাস বলে, সাবধান! এই পাখিই কিন্তু হতে পারে আবাবিল। তৎকালীন আরবের সবচেয়ে বিচক্ষণ ব্যক্তি আবুল হাকাম। আত্মম্ভরিতা এবং সত্যকে অস্বীকারের কারণে সে হলো আবু জেহেল। বদরের যুদ্ধে হাঁটুসমান দুই কিশোরের হাতেই তার ভবলীলা সাঙ্গ হলো। দুনিয়া জয় শেষে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকেও বধ করতে আসমানে অভিযান পাঠিয়ে ছিলো নমরুদ। দুটি ল্যাংড়া মশা-ই তাকে কুপোকাত করে দিলো।

১০০ বছর আগে সমগ্র পৃথিবীর শাসনকর্তা ছিলো বৃটিশরাজ। মাত্র ২৩ বছরের এক এতিম, বেকার বাউণ্ডুলে যুবককে লেখার অপরাধে তারা জেলে পুরে ছিলো, হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে। 

যুবকটি হিমালয়ের চাইতেও বড় সেই পরাশক্তির বিরুদ্ধে একা দাঁড়িয়ে গেলেন। সব জেলমেটদের নিয়ে হাত-পায়ে শিকল বাজিয়ে গান গাইলেন;

‘এই শিকল-পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল

এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল।

তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়,

ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন-ভয়।

এই বাঁধন পরেই বাঁধন-ভয়কে করবো মোরা জয়,

এই শিকল-বাঁধা পা নয় এ শিকল-ভাঙ্গা কল।’

আমরা নজরুলের সেই ফর্মুলা, ‘এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল’ এর মতো আমাদের ঈমানের তেজ, ঐক্য এবং জায়নবাদীদের প্রযুক্তির শিকল দিয়েই ওদেরকে অকেজো করে দিতে পারি। ইনশাআল্লাহ। শুধু গাজা, ফিলিস্তিনে নয়- সমগ্র দুনিয়ায়।

আগ্নেয়াস্ত্রের (গান) মোকাবেলায় হৃদয়ের গান!

গাজার মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে দেখে অনেকেই আমরা অস্বাভাবিক অবস্থায় আছি। এর মাঝেই অনেকে বিভিন্ন লেখালেখি, কবিতা ও গান দিয়ে প্রতিবাদ করছেন। লন্ডনের মতো জায়গায় মিলিয়ন মানুষের প্রতিবাদ হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ সে প্রতিবাদের বিপক্ষে ইসরাইলের পক্ষ হয়ে নগ্ন ভূমিকার কারণে ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছে। 

গান দিয়েও ভালো প্রতিবাদ করা যায়। কবিতা বা গল্প দিয়েও সবার হৃদয়কে স্পর্শ করা যায়। চলুন সবাই যে যার জায়গা থেকে মজলুমের পাশে দাঁড়াই। একটি দেহের মতোই একাত্ম হয়ে গর্জন করি। 

মজলুমের ফরিয়াদ আর আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। আল্লাহ তুমিই একমাত্র এই মজলুম ও পবিত্র জনপদের সর্বোত্তম সাহায্যকারী। তাই তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমিন।

লেখক: লেখক ও গবেষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির