আল্লাহপাকের সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ। যাদেরকে উপাধি দেওয়া হয়েছে‘আশরাফুল মাখলুকাত’ অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব। তারা আল্লাহপাকের সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি। তাই তারা যেন শয়তানের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে না যায়, সে জন্য গাইড লাইন হিসেবে আল কুরআনকে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, যারাই আমার কুরআন অনুসরণ করবে না তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সা. তাঁর বিদায় হজের বাণীতে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর কুরআন ও আমি রাসূলের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।’ আমরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবি করি এবং মুসলিম হিসেবে মরতে চাই তাহলে আল্লাহর হুকুম ও রাসূল সা. এর সুন্নাতকে অনুসরণ করা আমাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এমন একটি সংগঠন যারা দেশের ছাত্রসমাজকে কল্যাণের পথে আহ্বান জানায়, ছাত্রসমাজকে সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং এবং অসৎ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে। লেখাপড়ার পাশাপাশি কুরাআন-হাদিসের চর্চা করে এবং আমল করে। এমন একটা সুন্দর দলের তুলনা অন্য কোন দলের সাথে মিলে না। এরা মানুষকে নামাজি ও ভদ্র বানায়। এই বাংলাদেশের বুকে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অপকর্মের প্রমাণ দেখাতে পারবে না। আল্লাহর রহমতে এই সংগঠন একজন ছাত্রকে পিতামাতার চক্ষুশীতলকারী সন্তান হিসেবে সমাজে উপহার দেয়।
এই সংগঠনই করতো শহীদ সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুম, শহীদ মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, শহীদ রফিক, শহীদ ফয়সাল। তারা তাদের এলাকার শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সুপরিচিত ছিল। তাদের কথা মনে হলে এখনো তাদের এলাকার লোকেরা চোখের পানি ফেলেন। সেদিন যারা পল্টনে শহীদ হয়েছেন তাদের চরিত্র হুবহু একই রকম ছিল। মাসুম শিশুকাল থেকে (৬-৭ বছর বয়স) নামাজ পড়তো জামায়াতের সাথে। ছোটবেলায় যখন খেলা করতো, বলতাম- আজান হয়েছে মসজিদে যাও। সাথে সাথে খেলা ছেড়ে মসজিদে চলে যেত। কোন প্রকার অবহেলা করতো না। রোজার বেলাও তাই করতো ৫-৬ বছর বয়স থেকে রোজার প্রতি তার আকর্ষণ ছিল তীব্র। পাল্লা দিয়ে রোজা রাখতো চাচাতো ভাইবোনদের সাথে। সাইফুল্লাহ কোন দিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতো না। সে খুবই ধৈর্যশীল ছিল। একটা ছোট ঘটনা মনে পড়ে, আমাদের বাসার সামনে ও ফুলের গাছ লাগিয়েছিল সখকরে । গাছে ফুল ধরেছে। বাড়ির ভাড়াটিয়ার ছোট একটি মেয়ে ফুল ছিড়ে ফেলেছে। মাসুম সাথে সাথেই দেখে ফেলেছে এবং মেয়েটির হাত ধরে তাকে জিজ্ঞেস করেছে, পেছনে মেয়েটির মা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে ঘটনাটি কী দাঁড়ায়। এদিকে মেয়েটির সাথে মাসুম শখের ফুল ছেঁড়ার করণে কোন প্রকার দুর্ব্যবহার তো করেইনি বরং তাকে আদর করে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় দিয়েছে। মাসুম শহীদ হওয়ার পর সবার কাছে সেই মহিলা কেঁদে কেঁদে বলেছেন, এমন সুন্দরতার আচরণ ছিল। আমার মেয়েটিকে ভেবেছিলাম মারবে বা বকাঝকা করবে। কিন্তু মাসুমের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
অভাবীদের অভাব দূর করার ব্যাপারে সে ছিল তৎপর। এক গরিব ছাত্রের ভর্তির টাকার ব্যবস্থা করে নিজের প্রিয় পছন্দের জামাটি পরিয়ে দিয়ে তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল শহীদ মাসুম।
ছাত্রদেরকে পয়সা ছাড়া পড়াতো। প্রতি বছর নতুন বই কিনে দিতাম। বছর শেষে সেই বইগুলো বিনা পয়সায় গরিব ছাত্রদেরকে দিয়ে দিত। শুধু বইয়ের বেলায় নয়, আমেরিকা থেকে তার মামা তার জন্য শখের খেলনা এনেছিল, সেই খেলনা ছেলেদেরকে ইসলামের পথে আনার জন্য এবং ভাব জমানোর জন্য দিয়েছিল। পয়সা খরচ করে ছাত্র ভাইদেরকে খাওয়াতো। বাড়ির ডাবগাছ, আমগাছ ও বরইগাছ থেকে ফল পেড়ে তাদেরকে খাওয়াতো । এলাকার প্রতিটি ছেলের জন্য অন্য রকম একটা টান ছিল তার।
সংগঠনে সময় দিত বেশি। মাঝে মাঝে আমি বকা দিতাম পড়াশোনার জন্য। একটা সুন্দর রুটিন ছিল ওর। লেখাপড়ায় ও মেধাবী ছিল। মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে প্রথম বিভাগে ৩টি লেটারসহ ও বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইএসসি পাস করে ইংলিশে অনার্সে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তুতার খুব ইচ্ছে ছিল ইংল্যান্ডে গিয়ে পড়াশোনা করার। কারণ সেখানে তার প্রিয় খালা তার জন্য সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল। কিন্তু সেই আশা আওয়ামী হায়েনারা পূরণ হতে দিলনা।
শহীদ মাসুমের ভেতরে কখনো অলসতা স্থান পেতে পারেনি। সংগঠনের কাজের বেলায় ছিল সে সদাতৎপর। রাত জেগে পোস্টারিং ও দেয়াল লিখনের কাজ সে করেছে নির্ভয়ে। সাথীদের নিয়ে নিজের হাতে চুলায় গাম তৈরি করে সারারাত না ঘুমিয়ে এসব কাজ করতো। শত কাজের মাঝেও যখনই দায়িত্বশীল ডাকতেন সব কাজ ফেলে দিয়ে তাতে সাড়া দিত। মোট কথা সংগঠনের জন্য সে ছিল নিবেদিতপ্রাণ। পাড়ায় দুষ্টু ও চঞ্চল ছেলেদেরকে খেলাধূলার মাধ্যমে সংগঠনে ভেড়ানোর চেষ্টা করতো। এর জন্য নিয়মিত খেলাধূলায় তাদের সাথে সময় দিত। কিছু ছেলে ফজরের নামাজ পড়ার বেলায় অবহেলা করতো বলে ফুটবল খেলার প্রলোভোন দেখিয়ে তাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে ফজরের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করতো শহীদ মাসুম।
সুন্দর কবিতা লিখতে পারতো। সিগারেট নিয়ে, জন্মভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে সাড়া জাগানোর মতো কবিতা লিখেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই কবিতাগুলো বন্যার সময় হারিয়ে গিয়েছে বিধায় উল্লেখ করতে পারলাম না। শহীদ মাসুম অনেক সুন্দর গান করতে পারতো। এলাকার বিভিন্ন প্রোগ্রামে স্টেজে সুন্দর সুন্দর গান গেয়ে শুনাতো সবাইকে। সে সুন্দর সুরে কুরআন তেলাওয়াত করতো। এক কর্মী বোন সকালবেলা আমার সাথে দেখা করার জন্য আমাদের বাসায় এসেছিলেন। মাসুম সামনের রুমে বসে কুরআন তেলাওয়াত করছিল। সেই সময় বাইরে থেকে তার কুরআন তেলাওয়াতের সুর শুনে কর্মী বোনটি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ও শহীদ হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এক পর্যায়ে এ কথাটি উল্লেখ করেছিলেন বোনটি। ও বেঁচে থাকতে এত কিছু খেয়াল করিনি। চলে যাওয়ার পর এখন ওর সব গুণ চোখের সামনে ভেসে উঠছে। এখন ওর প্রতিটি আচরণ স্মৃতি হয়ে মনে নাড়া দেয়। আর ওর হারানো ব্যথা সহ্য করতে কষ্ট হয়। ও ছিল সমাজসেবী বালক। কারো কোন অসুখের খবর কানে এলে সোজা হাসপাতালে গিয়ে হাজির হতো। রক্ত দেয়া থেকে শুরু করে রাত জেগে সেবা করা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে সে ছিল তৎপর।
এমন চক্ষুশীতলকারী সন্তান ছিল মাসুম। সে শুধু মায়েরই চক্ষুশীতলকারী সন্তান ছিল না। সারা এলাকার মুরুব্বিদের নজরকাড়া একজন সন্তান ছিল। তাকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলল, কথাটি এখনো এলাকাবাসী সহ্য করতে পারছে না। যার বিরুদ্ধে জীবনে একটি নালিশ ছিল না কারো, সেই ২ নভেম্বরে তার শাহাদাতের খবরে দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকার বাইরের জেলা থেকে মাদারটেক বাগানবাড়িতে সবাই সেদিন ভিড় করেছিল শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য। লক্ষণীয় হলো, সে ঢাকার বাইরে যেখানে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানকার লোকদের সাথে এমন সুন্দর আচরণ করতো যে তারা তাকে ভুলতে পারতো না। শহীদ মাসুম খেলায় সুন্দর সুন্দর প্রাইজ নিয়ে ঘরে ফিরতো মেডেল, কাপ, কাচের প্লেট। এখনো সব কাচের প্লেট স্মৃতি হিসেবে যত্ন করে রেখে দিয়েছি। শিবির দায়িত্বশীলরা এলে সেগুলো তখন ব্যবহার করে মনে তৃপ্তি পাই। ও আল্লাহর কাছে চলে যাওয়ার পর এখন বুঝি কী সম্পদ হারিয়েছি। ওকে আমি একটি মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারি না। এই পৃথিবীতে সব সুখ আছে। এই সুখের ভেতরেও প্রতিটি মুহূর্তে হৃদয়ের ক্ষতস্থানে ব্যথা অনুভূত হয়। সেই মাসুমকে ছাড়া এক মুহূর্তেও থাকতে পারতাম না। মাসুম ছাড়া আমার কোন কিছু ভাল লাগতো না। সেই মাসুমকে ছাড়া আমি চোখের পানিকে সঙ্গী করে বেঁচে আছি। সব আছে, মাসুম নেই। দেখতে দেখতে আজ কতোটি বছর চলে গেলো! রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের১৭টি বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু মাসুম শিপন, মুজাহিদ ও ফয়সালদের হত্যার কোনো বিচার হলো না।
বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হলো। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের অপকর্মের অসংখ্য ঘটনা আছে, তবে একটা ঘটনা উল্লেখ না করে পারছি না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নামাজি ছেলেকে শিবিরকর্মী মনে করে ধরে এনে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার পিঠের চামড়া উঠিয়ে ফেলা হয়েছে, নামাজি ছেলের লজ্জাস্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিত অবস্থায় সেই নামাজি ছেলে পানি খেতে চেয়েছিল বলে তার মুখের মধ্যে প্যান্টের চেইন খুলে প্রস্রাব খাইয়ে দিয়েছিল শেখহাসিনার ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা। ছেলেটির অপরাধ হলো- সে নামাজ পড়ে। আর সেই সোনার ছেলেরা ১০০ মেয়েকে ধর্ষণ করে সেঞ্চুরী পালন করে মিষ্টি বিতরণ করেছিলো। এ কথা দেশবাসীর জানা আছে।শেখ হাসিনার হুকুমে ও তার সোনার ছেলেদের লগি-বৈঠার আঘাতে আমাদের সন্তানরা নিহত হয়েছে। এগুলো শেখ হাসিনা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেনা।তার বক্তৃতাগুলোরঅডিও-ভিডিও রেকর্ড হয়ে আছে। তিনি বলেছিলেন লগি-বৈঠা নিয়ে আসতে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা মায়েরা আমাদের সন্তানগুলো হারিয়েছি।
এ কারণে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার বিচার সরকার করেনি। বরং বিদেশী প্রভূদের সহায়তায় ক্ষমতায় বসে সরকারি শক্তিতে হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিল। তাই তার দ্বারা কখনো ভাল কাজ হবে বলে আশা করা যায়না। সে ক্ষমতায় আসার পরপরই ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হলো। সেনা অফিসাররা বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নিলেন না। তার মানে তিনিও এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। শেখ হাসিনা আইনের কথা বলেন বড় গলায়। বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা বিবৃতি দেন কিন্তু সরকারি ক্ষমতাবলে ২৮ অক্টোবর খুনের মামালা প্রত্যাহার করে নিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি আইনের ঊর্দ্ধে। আমরা দেশবাসী আইনকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি। আইন হলো সব কিছুর ঊর্দ্ধে। আইনের ঊর্দ্ধে কেউ যেতে পারে না। আইনের কাছে কে প্রধানমন্ত্রী, কে রাষ্ট্রপতি বিচার বিবেচ্য নয়। আইনের চোখে যে দোষী হবেন তাকে আইনের শাসন মেনে নিতে হবে। এটা হলো স্বাভাবিকতা। কিন্তু শেখ হাসিনা আইনের শাসনের অবমাননা করে একটা বড় ধরনের অপরাধ করেছেন, এর শাস্তি হওয়া উচিত।আমরা বাদিরা দুর্বল, এখন আমাদের জন্য কোনো মানবাধিকারবাদী এগিয়ে আসছে না। যখন সন্ত্রাসীরা মারা যায় তখন মানবাধিকারবাদীরা চেঁচামেচি করতে থাকে। কিন্তু যেভাবে নামাজি,ভদ্র, চরিত্রবান ছেলেদের পিটিয়ে মারা হলো এ ব্যাপারে মানবাধিকার কর্মীদের কোনো আওয়াজ এ পর্যন্ত বের হলো না। দিন-দুপুরে সচেতন মানুষের সমনে শেখ হাসিনা যে মানবতাবিরোধী ঘটনাটি ঘটালেন, তা বিশ্ববাসী ভুলবে না। কাল হাশরের ময়দানে এই বিশ্ববাসী তার বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আল্লাহপাক অবশ্যই তার বিচার করবেন। আল্লাহর কাছে যে মামলা দিয়ে রেখেছি- পুত্রহারা, স্বামীহারা, পিতৃহারা মানুষের প্রতিদিনের ও প্রতি মুহূর্তে চোখের পানি আল্লাহর দরবারে জমা হচ্ছে। কেউ চিরদিন দুনিয়ায় থাকবে না।
আমরা আল্লাহর কাছে এই জন্য শুকরিয়া জানাই যে, আমরা শহীদের মা হতে পেরেছি। কারণ একজন শহীদ কাল হাশরে এমন ৭০ জনকে শাফায়াত করতে পারবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত ছিল। এ ঘটনার কারণে আমাদের ছেলেরা কতো বড় মর্যাদা লাভ করেছেন- এর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। ইসলামের দুশমনরা মাসুম, শিপন, মুজাহিদদের হত্যা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাজকে বন্ধ করে রাখতে পারেনি। ওরা নেই, কিন্তু আল্লাহর দ্বীনের আরো অনেক মুজাহিদ এগিয়ে আসছে ওদের শূন্যস্থান দখল করার জন্য, আলহামদুল্লিাহ। আল্লাহর পথে বাধা দিতে গিয়ে তারাই (বর্তমান সময়ের ইসলামের দুশমানরা) ফেরাউন ও নমরুদের মতো ধ্বংসের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবে।এই আটাশে অক্টোবরে নতুন করে শহীদদের আত্মদানের কথা স্মরণ করে দ্বীন কায়েমের পথে আমাদের পথ চলা হোক আরো বেগবান। আর চোখের পানি নয়, আওয়ামী হায়েনাদের বিষাক্ত ছোবল থেকে দেশের ঈমানদার জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব আজ আমাদের অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ওপর। আল্লাহপাক দায়িত্ব পালনের তাওফিক করুন। আমিন।
লেখিকা: শহীদ সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুমের মা
আপনার মন্তব্য লিখুন