post

ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য সংগঠকের কাঙ্ক্ষিত গুণাবলি

রাজিবুর রহমান

৩০ আগস্ট ২০২৩

আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠার ফরজ দায়িত্ব অর্থাৎ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মহান কাজটিকে সংঘবদ্ধভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ সুবহানাহু ও’তাআলা। সংঘবদ্ধভাবে এই দায়িত্ব পালনের জন্যই গড়ে ওঠে সংগঠন। একটি সংগঠনকে সফলতার শেখরে উন্নীত করার জন্য প্রয়োজন দক্ষ সংগঠক। ইসলামী আন্দোলনে সংগঠকের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। এটি মূলত নবীদের কাজ। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সা. ছিলেন আল্লাহর শেষ বার্তাবাহক। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। ফলে তাঁর আঞ্জাম দেওয়া এই দায়িত্বটি এখন আমাদের ওপর এসে বর্তেছে। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, ‘আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, (যাতে) আমার নির্দেশে তারা লোকদেরকে সঠিক পথের দিশা দেয়।’ (সূরা আল আম্বিয়া : ৭৩)।

একটি আদর্শবাদী সংগঠনের সফলতা অনেকাংশেই সংগঠকের গুণাবলির ওপর নির্ভর করে। সংগঠন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি ও কর্মপদ্ধতি যত আধুনিক আর বিজ্ঞানসম্মতই হোক না কেন, কাক্সিক্ষত মানের সংগঠক ব্যতীত সংগঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হতে পারে না। আদর্শবাদী সংগঠনের সকল কর্মীকেই সংগঠকের গুণাবলি অর্জন করতে হয়। ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া কর্মীদের সংগঠক হওয়ার প্রচেষ্টা চালানোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমাদেরকে সংগঠনের কাছে এবং চূড়ান্তভাবে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার অনুভূতি নিয়েই দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই সুনিপুণভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজেকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হতে হবে আমাদের। আদর্শিক আন্দোলনের সংগঠকদের নিম্নলিখিত গুণাবলি থাকা অপরিহার্য-

১. লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জনে অনড়তা : ইসলামী সংগঠনের অভীষ্ট লক্ষ্য হলো সকল মত-পথের ওপর ইসলামকে বিজয়ী করা। দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতি সংগঠনের পতন ডেকে আনে। সংগঠককে নিজের ও তার জনশক্তিদের লক্ষ্যে অনড় রাখতে ভূমিকা পালন করতে হবে। কারো মধ্যে দুর্বলতা দেখা দিলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। দুর্বল সঙ্কল্প লক্ষ্য অর্জনে অনড়তার পথে প্রধান প্রতিবন্ধক। ‘ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী’ বইয়ে বলা হয়েছে, ‘কোনো আন্দোলনের ডাকে মানুষ অন্তর থেকে সাড়া দেয়, প্রথম প্রথম বেশ কিছুটা জোশও দেখায় কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তার জোশে ভাটা পড়ে।’ কর্মীর আগ্রহে এই ভাটা পড়া রোধে সংগঠককে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

২. প্রেরণাদানের যোগ্যতা: সংগঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে কর্মীদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা কর্মীদের মাঝে হতাশা তৈরি করতে পারে। কর্মীদের প্রেরণা জুগিয়ে হতাশা দূর করবেন সংগঠক। বাধার বিন্ধ্যাচল মাড়িয়ে এগিয়ে চলতে সাহস জোগাবেনও সংগঠক। 

৩. উদ্যমী হওয়া: সাফল্য লাভের বড় পুঁজি উদ্যম। নিরুদ্যম ব্যক্তিরা কখনোই সফল হতে পারে না। সংগঠনের নানামুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংগঠকের উদ্যমী গুণ অতি জরুরি। সেই সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার যোগ্যতাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নানা কারণে নিরুদ্যম ভাব আসতে পারে। নিয়মিত কুরআন অধ্যয়ন, আদর্শিক সাহিত্য বেশি পরিমাণে অধ্যয়নের পাশাপাশি আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ও উদ্যমীদের সাহচর্যে থাকা উদ্যম ধরে রাখার জন্য অতি জরুরি বিষয়।

৪. অধস্তনদের কাজে লাগানোর যোগ্যতা : মানুষ একা বড় কোনো উদ্যোগ সফল করতে পারে না। একজন সত্যিকার নেতা তাঁর নিজের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পারেন বহু মানুষের মাঝে। নেতাকে অনুসরণ করে কর্মীরা নিজেদের শ্রম, ঘাম এমনকি রক্ত দিতেও দ্বিধা করে না। প্রাচীন চীনা দার্শনিক লাও ঝু বলেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ নেতা সে-ই, যার অধীনে কোনো কিছু অর্জিত হলে তার সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষই ভাবতে পারে তারা সবাই মিলে কাজটি করেছে।’ স্নুগুগ বেবি প্রোডাক্টসের সিইও লিসা হ্যানসন বলেছেন, ‘নেতৃত্ব মানে বলপ্রয়োগ ছাড়াই অন্যদের একটি নির্দিষ্ট পথে চালিত করার ক্ষমতা।’ আর পৃথিবীর অন্যতম সেরা একজন উদ্যোক্তা এন্ড্রু কার্নেগি বলেছেন, ‘যদি কেউ সবকিছু নিজে করতে চায় এবং সব কৃতিত্ব নিজে চায়, সে কখনো ভালো নেতা হতে পারবে না।’ একজন দক্ষ সংগঠকের অন্যতম একটি যোগ্যতা হলো তার অধস্তনদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারা। 

৫. যোগাযোগের দক্ষতা: সংগঠকের সাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্নভাবে সংযুক্ত থাকে। সংগঠককে সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়। একটি ছাত্রসংগঠনের সংগঠককে প্রধানত বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। একজন ছাত্র দাওয়াত গ্রহণের পর যোগাযোগ করে এগিয়ে নিতে হয় তাকে। যোগাযোগের দক্ষতা ব্যতীত কাউকে ইসলামী আন্দোলনের পথে অগ্রসর করানোর কাজ আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব নয়। ছাত্রসংগঠককে ছাত্রদের বাইরে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুধী-শুভাকাক্সক্ষীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়। সংগঠক প্রতিদিন তার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা-দক্ষতা বৃদ্ধি করে থাকেন। যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে নি¤েœাক্ত বিষয়সমূহ অতি গুরুত্বপূর্ণ-

ক) অন্যকে বেশি বেশি শুনুন: বেশি বলার চাইতে বেশি শোনার অভ্যাস বাড়াতে হবে। এতে আপনার সাথে যোগাযোগে আগ্রহী হবে অন্যরা। কথা শোনার সময় অবশ্যই মনোযোগ ঠিক রাখতে হবে, যেন বক্তা অনুভব করে আপনি মনোযোগের সাথেই শুনছেন তাকে। পাবলিক রিলেশন ও মার্কেটিং বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় ম্যাগাজিন ‘PR Daily’-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ২% মানুষ কথা শোনা বিষয়ে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। এটি একটি দক্ষতা এবং এ বিষয়েও শেখার অনেক কিছু আছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ অন্যের কথা শোনার চাইতে নিজের কথা বলতে বেশি পছন্দ করে। মানুষকে কথা শোনানোর জন্যই আপনাকে কথা শোনায় দক্ষ হতে হবে। 

খ) যোগাযোগে মাল্টিটাস্কিং এভোয়েড করুন: কারও কথা শোনার সময় ডিভাইস ব্যবহার, কোনো বই পড়া কিংবা অন্য কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে যোগাযোগকারীর আপনার প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হবে। আর এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ পরিপন্থীও বটে! নবীজি যখন কারও সঙ্গে কথা বলতেন, তখন তিনি পূর্ণ মনোযোগের সাথে সরাসরি তার দিকে তাকিয়ে থাকতেন; এদিক-ওদিক তাকাতেন না। মোলাকাতকারী ব্যক্তি হাত না ছাড়া পর্যন্ত তিনি তাঁর হাত ছাড়াতেন না। 

গ) সদালাপী হোন: হাসিমুখে মিষ্টি কথা বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। একেবারেই চুপচাপ থাকা থেকে চেষ্টা করুন বিরত থাকতে। সুন্দর কথা, আন্তরিক সম্ভাষণ মানুষের হৃদয় জয় করতে সহায়ক হয়। অমায়িক ব্যবহার যার মুখে আছে/ পৃথিবীও ঋণী হয় ঠিক তার কাছে....।

ঘ) খোলামনের মানুষ হোন: নিজের মনকে অযথা সংকীর্ণ করবেন না। উদার হোন। কর্মীদের ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমার চোখে দেখতে শিখুন। রহমদিল হোন তাদের প্রতি। এটিই নেতৃত্বের নববি আদর্শ। এই বিশেষ গুণটির জন্য কুরআনে আল্লাহ রাসূল সা.-এর প্রশংসা করেছেন। চরম শত্রুদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করতেও নিজের উদারতার অস্ত্রটিকে ব্যবহার করুন। কবি নজরুলের ভাষায় দু’আ করুন- ‘ক্ষুদ্র কোরো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর/ এই বুকে যেন সদা ঠাঁই পায় শত্রু, মিত্র, পর....।’

ঙ) ওয়াদা ঠিক রাখুন: অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ওয়াদা পূরণে আমরা সিরিয়াস থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছোট বিষয়ে অসচেতন থাকি। যেমন: কারো সাথে সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত থাকলেও প্রায়শই সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারি না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কাউকে ফোন দেওয়ার ব্যাপারে কথা দিলেও তা আমরা বেমালুম ভুলে বসে থাকি। 

৬. সুসম কর্মবণ্টনের যোগ্যতা: সংগঠকের একটি বড় গুণ হলো কর্মীদের মাঝে সুসম কর্মবণ্টনের যোগ্যতা। সকল কর্মীর দক্ষতা, প্রতিভা সমান নয়। নেতাকে তার কর্মীদের যোগ্যতা সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। কে কোন কাজে পারদর্শী, তা বিবেচনায় রেখে কাজ দিতে হবে তাদের। তবেই ভালো আউটপুট বের করে নিয়ে আসা সম্ভব। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের সাবেক কমান্ডার ক্রিস হ্যাডফিল্ড বলেছেন, ‘নেতৃত্ব মানে কঠিন সময়েও তোমার টিমকে তাদের সেরা কাজটি দিয়ে কিছু অর্জন করার জন্য অনুপ্রাণিত রাখতে পারা।’

৭. সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা: একজন নেতা বা সংগঠক মূলত সমস্যা নিয়েই কাজ করেন। জনৈক মনীষী বলেছেন, ‘যেদিন তোমার লোকেরা তাদের সমস্যা নিয়ে তোমার কাছে আসা বন্ধ করে দেবে, সেদিনই বুঝবে তুমি নেতৃত্ব হারিয়েছ।’ এটিই মূলত নেতৃত্বের ভিত্তিমূল। একজন সংগঠক কত অনন্য উপায়ে তার কর্মীদের সমস্যার সমাধান দিতে পারেন, তার ওপরই নির্ভর করে তার নেতৃত্বের যোগ্যতা। 

৮. সময় ব্যবস্থাপনায় অভ্যস্ত হতে পারা: নেতৃত্বের মূল পরীক্ষাটা হয় মূলত সময় ব্যবস্থাপনায়। যিনি তার সময়কে যত ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারেন, তিনি তত ভালো সংগঠক। ইমাম শাফেঈ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘সময় হচ্ছে অনেকটা ধারালো তরবারির মতো। যদি তুমি এটিকে কাটতে না পারো, তাহলে এটি তোমাকে কেটে ফেলবে।’ উইলিয়াম শেকসপিয়ার বলতেন, ‘আমি নষ্ট করতাম সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায়।’ একজন সংগঠক সময়ের ব্যাপারে অসচেতন হলে তার সামগ্রিক জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য, যা প্রকারান্তরে সংগঠনের ভাবমূর্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

৯. ইনসাফ কায়েম করা: কর্মীদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা সংগঠকের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে ওঠে সকলকে সমান চোখে দেখতে হবে। কারো প্রতি অন্যায় পক্ষপাত সংগঠকের জন্য মানানসই নয়।

১০. ত্যাগে অগ্রগামী হওয়া: নেতা হবেন ত্যাগে অগ্রগামী। বস সাধারণত নির্দেশ দেন আর নেতা আগে নিজে করে দেখান। বিশ্বকাপ জয়ী স্প্যানিশ ফুটবল কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক বলেছেন, ‘একজন নেতাকে তার কর্মীরা ভালোবাসে, অন্যদিকে বসকে ভয় পায়।’ পেপসিকোর সাবেক সিইও ইন্দ্রা নূরী বলতেন, ‘একজন নেতা হিসেবে আমি নিজে অতিরিক্ত কষ্ট করি, যাতে অন্যরাও তা দেখে নিজের সেরাটা দিতে উ‌ৎসাহিত হয়।’ নেতৃত্বের অনন্য মডেল হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন শহীদ আবদুল মালেক। তিনি কর্মীদের জন্য নিজের বিছানা ছেড়ে দিয়ে নিজে ফ্লোরে ইট মাথায় দিয়ে ঘুমাতেন। 

১১. কর্মীদের মাঝে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব নির্মাণ: একজন দক্ষ সংগঠক তার কর্মীদের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধন তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি এবং সৌহার্দ্য প্রকাশে উৎসাহিত করে তুলবেন তিনি। রাসূল সা. যেভাবে আনসার এবং মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছিলেন, সেভাবে ভ্রাতৃত্ব গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন সংগঠক। ইয়ারমুক যুদ্ধে সাহাবিদের মৃত্যুমুখে পরস্পরকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মীরা যেন জীবন গড়তে পারেন, নেতা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন নিরন্তর। 

১২. অফিস ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা: একজন সংগঠককে অফিস ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। দক্ষ সংগঠক নথিপত্র ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে হবেন পারদর্শী। দক্ষতা ও আমানতদারিতার সাথে সংগঠনের অর্থবিভাগ পরিচালনা সংগঠকের আবশ্যকীয় যোগ্যতা। সবকিছু গুছিয়ে করার অভ্যাস পরবর্তী দায়িত্বশীলের পথচলাকে সহজ এবং সুগম করবে সন্দেহ নেই।

দ্বীন কায়েমের এই নিরন্তর সংগ্রামে বিশ্রাম নেওয়ার কোনো অবকাশ আমাদের নেই। বিরাম-বিরতিহীন অবিরত, আসহাবে রাসূলের ত্যাগের মতো আমাদের দৃঢ় পদভারে পথ চলতে হবে। জ্ঞান এবং আমলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যমে নতুন পৃথিবীর স্বপ্নবাজ নাবিকদের জাহাজ নিয়ে বন্দরের উদ্দেশ্যে ছুটতে হবে নিরন্তর। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে স্নিগ্ধ-শ্যামল দারুচিনি দ্বীপ।

লেখক : কেন্দ্রীয় সভাপতি

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির